প্রায় ১০ মাস পর কারাগারের অন্তরালে থাকার পরও বাইরে বেরিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়নি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। গত মাসের শেষ দিকে আদালত থেকে বেরিয়ে কোর্টে উপস্থিত হওয়ার সময়ও মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন অর্পিতা। তবে সোমবার ভার্চুয়াল শুনানিতে বিচারকের সামনে মুখ খুলতে দেখা যায় তাঁকে। এদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায় দুজনকেই ভার্চুয়ালি পেশ করা হয় আদালতে। সেখানেই বিচারকের কাছে একাধিক অভিযোগ করেন অর্পিতা। ভার্চুয়ালি আদালতকে অর্পিতা জানান, জেলে তাঁর চিকিৎসা ঠিক হচ্ছে না।শারীরিক সমস্যা হচ্ছে। বিচারক তাঁকে জানান ,জেলকে তিনি সুপারিশ করবেন, যাতে চিকিৎসা ঠিক হয়। এদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় আদালতে জানান, তাঁকে যাতে হার্ড কপি দেওয়া হয়। প্রত্যুত্তরে বিচারক জানান, ‘অত কপি দেওয়া যাবে না। ওঁর আইনজীবীকে পেনড্রাইভে দেওয়া হয়েছে।’
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তাঁর দক্ষিণ কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধারের পর গত বছর ২৩ জুলাই গ্রেপ্তার হন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এরপর কয়েকবার তাঁকে সশরীরে আদালতে পেশ করে ইডি। কিন্তু জেল হেপাজতের নির্দেশের পর অর্পিতাকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে প্রেসিডেন্সি জেলের বাইরে বার করা হয়নি। ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে। দীর্ঘ প্রায় ১০ মাস পর গত মে মাসে সশরীরে আদালতে হাজিরা দেন অর্পিতা। তখনই তিনি আদালতে জানান, ‘টাকা আমার নয়। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে। মা অসুস্থ। মায়ের পাশে থাকতে চাই।’
এদিকে গত ২২ জুলাই তৃণমূলের তৎকালীন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সেখানে তাঁরা পার্থবাবুর সঙ্গে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নামে এক অভিনেত্রীর জয়েন্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পান। এর পর দক্ষিণ কলকাতায় অর্পিতার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ২০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়।অর্পিতার বেলঘড়িয়ার আরও একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে মেলে প্রায় ২৭ কোটি টাকা।