হাওড়া : লালবাবা কলেজে ফের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধল। পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। মারপিটের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। দুই গোষ্ঠীর মারপিটের ঘটনায় এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। ফের যাতে কোনো অশান্তি না ছড়ায়, তার জন্য কলেজের সামনে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। বৃহস্পতিবারের মারধরের ঘটনায় বালি বিধানসভা কেন্দ্র তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কনভেনার অভিজিৎ রায় সহ মোট ৪ জনকে আটক করেছে বালি থানার পুলিশ।
মারপিটের ঘটনায় গুরুতর আহত এক ছাত্র চিকিৎসাধীন রয়েছে হাসপাতালে। ঘটনার খবর পেয়ে লালবাবা কলেজে এসে উপস্থিত হন বালির বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায়। যদিও ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি বিবাদমান গোষ্ঠির কোনো পক্ষই। যদিও বালির বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগ নেই। কলেজে বিভিন্ন কথাকাটাকাটির কারণে নিজেদের মধ্যে ঝামেলাতে জড়িয়ে পড়েন পড়ুয়ারা। তবে তিনি দাবি করেন, কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরণের ঘটনা কাম্য নয়। কলেজের অধ্যক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলেই তিনি দাবি করেন। উল্লেখ্য, এর আগেও চলতি বছরে কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের পর স্কুল-কলেজ খোলার প্রথমদিনেই ধুন্ধুমারকান্ড বাঁধে এই কলেজে। তখনও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে হাওড়া বেলুড়ের লালবাবা কলেজে।
সরস্বতী পুজো কারা করবে, তা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ গড়ায় সংঘর্ষে। ছাত্রীরা একে অপরের চুলের মুঠি ধরে মারামারি করেন বলেও অভিযোগ। এর জেরে উত্তেজনা ছড়ায় কলেজ চত্বরে। খবর পেয়ে সেইসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। স্থানীয় সূত্রে খবর, সরস্বতী পুজো কারা করবে, এই নিয়ে দু’পক্ষ কলেজে এলে তখনই ঝামেলা বাঁধে। বৃহস্পতিবারের ঘটনা কলেজে দ্বিতীয়বার বিবাদে জোড়াল শাসকদলেরই বিবাদমান তৃণমুল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠী।