নিজস্ব প্রতিবেদন, বুদবুদ: শনিবার থেকে শুরু হল বুদবুদের মারো গ্রামের খড়ি মন্দিরের বার্ষিক পুজো ও পৌষমেলা।
শনিবার পুজো উপলক্ষে নানান ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় মন্দির প্রাঙ্গণে। পাশাপাশি এদিন পুজো উপলক্ষে কয়েক হাজার মানুষের জন্য খিচুড়ি ভোগের আয়োজন করা হয়েছিল মন্দির প্রাঙ্গণে। একই সঙ্গে মন্দির সংলগ্ন ময়দানে বসেছে মেলা, যা চলবে আগামী ১০ দিন ধরে। জানা গিয়েছে, কয়েক দশক আগে স্বপ্নাদেশ পেয়ে এক অসুস্থ মানুষ খড়ি মন্দির সংলগ্ন জলাশয়ে স্নান করে সুস্থ হয়ে যান। যে খড়ি নদী বর্ষাকালে পূর্ব বর্ধমান জেলায় বন্যায় ভাসিয়ে দেয়, সেই খড়ি নদীর উৎপত্তি হয়েছে এই জলাশয় থেকেই।
বহুকাল আগে থেকেই দেবী খড়ি মায়ের নানান অলৌকিক কাহিনির লোকশ্রুতি আছে। তবে অসুস্থ মানুষ সুস্থ হওয়ার অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী আজও আশপাশের গ্রামের অনেক মানুষ রয়েছে বলে দাবি মারো গ্রামের বাসিন্দাদের। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পৌষ সংক্রান্তিতে গঙ্গা স্নানের বদলে হাজার হাজার মানুষ এই খড়ি নদীতেই স্নান করে মকর স্নান সারেন যেটিকে বর্তমানে একটা ছোট ডোবার আকারে দেখা যায়। এই ডোবার একটি অলৌকিক ঘটনা হল, গ্রীষ্মের সময় সমস্ত জায়গায় জল শুকিয়ে খরা সৃষ্টি হলেও, এই ডোবার জল কোনও দিন শোকায়নি।
বহু মানুষ তাঁদের মনস্কামনা নিয়ে আসেন খড়ি মায়ের কাছে। তাঁদের মনস্কামনা পূরণ হলে খড়ি নদীতে স্নান সেরে মন্দিরে পুজো দিয়ে যান। দিন যত যাচ্ছে ততই এই মেলা বড় আকার ধারণ করছে। তার সঙ্গে আস্থার ওপর ভর করে ভক্তেরও সংখ্যা বাড়ছে প্রতিবছর।