এক পদে তিন জনের নিয়োগ, অঙ্কিতা ববিতার পর চাকরি খোয়ালের অনামিকাও

অঙ্কিতা অধিকারী, ববিতা দাসের পর চাকরি খোয়ালেন অনামিকা রায়-ও। একই পদে তিন বার নিয়োগ। প্রায় একবছর অন্তর নতুন তথ্যের ভিত্তিতে আগের জনের চাকরি গিয়েছিল। সোমবার চাকরি খোয়ালেন অনামিকা রায়ও। কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে বাতিল হল নেই নিয়োগও। আদালতের নির্দেশে চাকরি হারিয়ে হতাশ অনামিকা রায়। তাঁর কথায়, ‘অনেক লড়াই করে চাকরি পেয়েছিলাম। অযোগ্যদের বিপাকে ফেলতে গিয়ে যোগ্যরা চাকরি হারাবে ভাবিনি। অযোগ্যদের জন্য আবার পরীক্ষা দিতে হবে ভেবে আমি ভীষণ হতাশ।’
২০১৬ সালে সহকারী শিক্ষিকা পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন রাজ্য শিক্ষাদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা ছিলেন তিনি। কিন্তু অভিযোগ ওঠে দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। কলকাতা হাই কোর্টে ২০২২ সালে এই সংক্রান্ত মামলায় বাবা ও মেয়েকে ডেকে পাঠায় সিবিআই। মেখলিগঞ্জ থেকে ট্রেনে উঠলেও কলকাতায় পৌঁছনোর আগেই ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। এর পর সে বছরই ২০মে চাকরি যায় অঙ্কিতার। পরে সিবিআই তদন্তের মুখেও পড়তে হয় তাঁদের। দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে মন্ত্রী পদও হারান পরেশ অধিকারী। নম্বরের বিচারে অঙ্কিতার পদে নিযুক্ত হন ববিতা দাস।
উল্লেখ্য, অঙ্কিতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ঠুকেছিলেন ববিতাই। সেই মামলায় জয়ী হয়ে শুধু চাকরি নয়, বেতন বাবদ অঙ্কিতার উপার্জিত ১৪ লক্ষ টাকাও পেয়েছিলেন তিনি। তবে সেই চাকরি তিনি বেশিদিন করতে পারেননি। আর এক চাকরিপ্রার্থী অনামিকা রায়ের করা মামলায় পরের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ১৬ মে ববিতার চাকরি যায়। অভিযোগ, আবেদনপত্রে তিনি বেশি নম্বর দেখিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে চাকরি হারান ববিতাও। সহকারী শিক্ষিকা পদে নিযুক্ত হন অনামিকা। অঙ্কিতার সেই ১৪ লক্ষ টাকাও পেয়েছিলেন তিনি। এর একবছরের মধ্যে চাকরিহারা হলেন অনামিকাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − fifteen =