তেলআভিভ, ৩ ফেব্রুয়ারি: ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ অব্যাহত। আর এর মধ্যেই নতুন করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে পশ্চিম এশিয়া। ইরাক এবং সিরিয়ায় বোমাবর্ষণ করা হয় আমেরিকার তরফে। সম্প্রতি জর্ডানের প্রত্যন্ত এলাকায় আমেরিকার সৈনিকদের একটি ঘাঁটিতে যে ড্রোন হামলা হয়েছিল তার প্রতিশোধস্বরূপ ইরাক এবং সিরিয়ায় ইরানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে আঘাত হানা হয়েছে বলে দাবি করেছে আমেরিকা।
আমেরিকার সেন্ট্রাল কম্যান্ড জানিয়েছে, আঘাত হানা হয়েছে ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পস কুদস ফোর্স এবং তাদের সঙ্গে সংযুক্ত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলিকে নিশানা করেই। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ৮৫টি জায়গায় বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল অপারেশন্স সেন্টার থেকে শুরু করে গুপ্তচর সেন্টার, ক্ষেপণাস্ত্র সেন্টার, ড্রোন সেন্টার এবং যুদ্ধ সরঞ্জামের ভাণ্ডারেও আঘাত হেনেছে আমেরিকা।
জানা গিয়েছে, এই হামলায় এখনও পর্যন্ত পূর্ব সিরিয়ায় ১৮ জন ইরান সমর্থিত যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন। একদম আমেরিকার সঠিক জায়গায় আঘাত হানা হয়েছে বলে জয়েন্ট স্টাফ অপারেশন্সের ডিরেক্টর, লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডগলাস সিমস জানিয়েছেন। ইরাকি সেনার মুখপাত্র ইয়াহিয়া রসুল জানিয়েছেন, সীমান্তে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। আমেরিকার এই হামলার ফলে সীমান্ত এলাকার স্থিতাবস্থা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা। তিনি বলেন, ‘আমেরিকার এই হামলার ফলে ইরাকের সার্বভৌমত্ব খর্ব হয়েছে। আমাদের সরকারের তরফে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালানো হলেও, এর ফলাফল মারাত্মক হতে পারে।’
ন্যাশনাল সিকিওরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন, ইরাক এবং সিরিয়ায় ৩০ মিনিট ধরে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। এখনও ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসেব পাওয়া যায়নি। এর আগে আমেরিকা বাগদাদে হামলা করেছিল। সেই সময়ই সব ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ শিয়া আল সুদানি বিদেশি বাহিনীকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেন। এই হামলার পর আমেরিকার নিন্দা করেছেন তিনি।