ফের ইউক্রেনর জন্য বড় অঙ্কের সামরিক প্যাকেজ ঘোষণা করল আমেরিকা। একদিকে পুতিনের পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি। অন্যদিকে কিয়েভের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করা নিয়ে বিরোধীদের আপত্তি। এই দুটি বিষয়কে উপেক্ষা করেই ফের মিত্রদেশের জন্য সাহায্যের হাত বাড়াল ওয়াশিংটন। দু’বছর পেরিয়েও জারি রয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আমেরিকার অস্ত্রবলেই রণক্ষেত্রে রুশবাহিনীকে পালটা মার দিচ্ছে ইউক্রেনীয় ফৌজ।
সূত্রে খবর, ইউক্রেনের জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলারের জরুরি অস্ত্রের প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে হোয়াট হাউসের তরফে। চলতি মাসের শুরুতে ইউক্রেনের বন্দরনগরী ওডেসায় আঘাত হেনেছিল রাশিয়া। সেই হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ২ শিশু-সহ ৮ জনের। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোডিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, সঠিক সময় অস্ত্র পেলে এই হামলা ঠেকানো যেত। সেই ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই সামরিক প্যাকেজ দেওয়ার কথা বলা হল।
এদিকে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেছেন পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা এবং প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক। ইউক্রেন যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। বৈঠকের পর আশঙ্কা প্রকাশ করে বাইডেন বলেন, মিসাইল, গোলাবারুদের এই সরবরাহ কিয়েভের জন্য যথেষ্ট নয়। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সেগুলো ফুরিয়ে আসবে। ফলে যুদ্ধের ময়দানে রাশিয়ার কাছে পরাজয় ঘটবে ইউক্রেনের। খুব বেশি দেরি হওয়ার আগে আমাদের দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। পুতিনের কার্যকলাপ ইউরোপ, আমেরিকা-সহ গোটা দুনিয়াকে বিপদে ফেলবে।
বলে রাখা ভালো, আমেরিকা-সহ পশ্চিমা বিশ্বকে পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। তাঁর হুঙ্কার, আমেরিকা যদি লড়াইয়ের ময়াদনে সেনা পাঠায় তাহলে তা পরমাণু যুদ্ধে উস্কানি দেওয়া হবে। আমরা তার জন্য প্রস্তুত। রণক্ষেত্রে আমেরিকা যেভাবে ইউক্রেনকে সাহায্য করছে তা মোটেই ভালোভাবে নিচ্ছে না মস্কো। অন্যদিকে, বেহিসাব সামরিক সহায়তার ফলে আমেরিকার অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে এই সহায়তা নিয়ে ওয়াশিংটনের অন্দরেই চরম অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এমনিতেই মুদ্রাস্ফীতিতে জেরবার বাইডেনের দেশ। ফলে দু’দেশের যুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থসাহায্য বন্ধের পক্ষেই সওয়াল করছেন সে দেশের বহু জনপ্রতিনিধি।