আইসিসি ট্রফি অধরা ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সদ্য টেস্ট জিতেছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। ওয়ান ডে সিরিজ শুরু হয়েছিল হার দিয়ে। প্রথম ওয়ান ডে-তে রেকর্ড রান তাড়া করে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। ঘরের মাঠে ওয়ান ডে ক্রিকেটে ভারতের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান হতাশার। তা বদলানোর সুযোগ এসেছিল। কিন্তু তীরে এসে তরী ডুবল। সিরিজ জিইয়ে রাখার ম্যাচেও হার। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই অজিদের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ হাতছাড়া ভারতের।
বোলিংয়ে অনবদ্য পারফর্ম করেছিলেন দীপ্তি শর্মা। তাঁর পাঁচ উইকেটের সৌজন্যে অস্ট্রেলিয়াকে ২৫৮-৮ স্কোরে আটকে রাখে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে ২৬০-এর মধ্যে আটকে রাখা নিঃসন্দেহে দারুণ ব্যাপার। এই রান তাড়া করতে না পারাটা ব্যর্থতা ছাড়া আর কীই বা বলা যেতে পারে! গত ম্যাচের একাদশে পরিবর্তন করেছিলেন হরমনপ্রীত কৌর। বাঁ হাতি পেসার সাইকা ইসাকের জায়গায় ওডিআই অভিষেক হল শ্রেয়াঙ্কা পাটিলের। শেফালির জায়গায় ফেরেন স্মৃতি মান্ধানা।
বোর্ডে ২৫৯ রানের লক্ষ্য। ওপেনার যস্তিকা ভাটিয়া ১৪ রানে ফেরেন। স্মৃতি এবং জেমাইমার সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েন রিচা ঘোষ। উল্টো দিক থেকে সঙ্গীরা আউট হতে থাকেন। চাপ বাড়ে রিচার ওপর। কেরিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন। ৫০ ওভার কিপিংয়ের পর তিনে ব্যাট করতে নামা। ক্র্যাম্প নিয়েও ক্রমশ কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দিকে এগচ্ছিলেন। ছন্দপতন হল। ৯৬ রানে ফেরেন রিচা। তখনও ম্যাচ ভারতের দখলেই। পরপর কয়েকটি উইকেট হারিয়ে চাপ বাড়ে।
শেষ ওভারে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ রান। অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডকে বাউন্ডারি মেরে স্বাগত জানান দীপ্তি শর্মা। পরের বলে সিঙ্গল। স্ট্রাইকে অভিষেককারী শ্রেয়াঙ্কা পাটিল। মিড অফে তাঁর ক্যাচ ফসকান তাহিলা ম্যাকগ্রা। এই সুযোগে সিঙ্গল নেন শ্রেয়াঙ্কা। দীপ্তি স্ট্রাইকে ফিরতেই ওয়াইড ডেলিভারি। তখনও জয়ের প্রত্যাশা ছিল ভারতের। যদিও একটা ডট বল চাপ তৈরি করে। শেষ দু-বলে ৯ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। অ্যানাবেলের স্লোয়ারে বড় শট খেলতে ব্যর্থ দীপ্তি। মাত্র ১ রান আসে। শেষ বলে রিভার্স সুইপে বাউন্ডারি মারেন শ্রেয়াঙ্কা। তীরে এসে তরী ডোবে ভারতের। মাত্র ৩ রানে হার।