কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল বা সিএজি রিপোর্টে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির উল্লেখ থাকার প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। শুক্রবার ময়দানের ধর্না মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের ওই রিপোর্টে তোলা অভিযোগ খন্ডন করে নেত্রী বলেন, রিপোর্টে এমন সময়ের কথা বলা হয়েছে তখন ক্ষমতায় থাকা দূরস্থান, তৃণমূল কংগ্রেসের সবে জন্ম হয়েছে। তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রের কাছ থেকে আসা টাকা খরচের হিসাব বা ব্যবহারিক শংসাপত্র কেন্দ্রকে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে আজ তিনি কড়া চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানান। পাল্টা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী বলেন, কেন্দ্র সরকারের সব বিভাগেই ৩০ শতাংশ কমিশন নেওয়া হয়ে।
উল্লেখ্য, ১০০ দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের বঞ্চনার প্রতিবাদে পূর্ব ঘোষণা মত শুক্রবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্না কর্মসূচি শুরু করেছেন তৃনমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের অন্য শীর্ষ নেতারাও কালো পোশাকে প্ল্যাকার্ড হাতে ধর্নায় সামিল হয়েছেন। ধর্না মঞ্চ থেকে তাঁরা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার বাজেটে আশা ও অঙ্গনওয়ারি কর্মীদের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় এনে যে সব সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে তাঁরা তার থেকে বেশি সুবিধা পান বলে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দাবি করেছেন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর ধর্না মঞ্চে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, আয়ুষ্মান প্রকল্পের আওতায় শুধু মাত্র ওই প্রকল্পের কর্মীরা সুযোগ পাবেন। যদিও রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে আশা ও অঙ্গনওয়ারী কর্মীদের পাশাপাশি তাঁদের মা, বাবা, স্বামী সন্তানরাও বিনামূল্যে স্বাস্থ্য বীমার সুযোগ পান। একই সঙ্গে আয়ুষ্মান প্রকল্পে রাজ্যকে ৪০ শতাংশ অর্থ দিতে হয়। তাই রাজ্যে কোনোভাবেই আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু করা হবে না বলে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন।
এদিকে কেন্দ্রীয় বাজেটকে অন্তঃসার শূন্য বলে তীব্র সমালোচনা করে অর্থ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, এই বাজেট সমাজের কোনো অংশের মানুষকে স্বস্তি দেয়নি। বিজেপি বুঝেছে তারা আর ক্ষমতায় আসবে না। তাই এই অন্তঃসার শূন্য অন্তিম বাজেট পেশ করেছে। রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা ধর্না মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে নারী বিরোধী বলে অভিযোগ তুলে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি মহিলা কুস্তিগীরদের আন্দোলন, মহিলা সংরক্ষণ বিল দ্রুত কার্যকর না করার প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রের সমালোচনা করেন।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শত্রুঘ্ন সিন্হা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মের নামে রাজনীতি করার অভিযোগ করেন। যেভাবে একের পর এক বিরোধী দলের নেতাকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির মাধ্যমে জেলে ভরা হচ্ছে তার তিনি তীব্র সমালোচনা করেছেন। নেতাদের দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় এজেন্সির মাধ্যমে জেলে ভরা হচ্ছে তার তিনি তীব্র সমালোচনা করেছেন।