ইডির ওপর হামলা-সহ একাধিক মামলায় হাজতে স¨েশখালির একসময়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা। প্রথম দিকে গ্রেপ্তারির পর শাহজাহানের দাপট ছিল আগের মতোই। তবে তার মাথা থেকে নেতৃত্বের হাত সরেছে বুঝেই এবার কিছুটা নরম শেখ শাহাজাহান। সূত্রের খবর ধীরে ধীরে মুখ খুলছেন শেখ শাহজাহান। বুধবার আদালতে পেশের আগের জোকা ইএসআই হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল ইডি। হাসপাতালে ঢোকার আগে শাহজাহানকে একাধিক অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানান, ‘সব মিথ্যা। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’ আর এই ষড়ন্ত্র প্রসঙ্গে শাহজাহানের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘বুঝতেই পারছেন।’ এদিন বারবার এই একটি কথাই বলতে শোনা যাচ্ছিল শেখ শাহজাহানকে। এদিন তিনি বারবার দাবি করেন, ‘সব মিথ্যা।’
এরপর ‘জেলিয়াখালির শরিফুল মোল্লাকে চিনতেন কি না সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলেও সেই একই উত্তর আসে শাহাজাহানের তরফ থেকে। তবে কেনো শরিফুলের অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়েছিলেন তার উত্তরেও শাহজাহান জানান, ‘সব মিথ্যা।’
এদিকে সন্দেশখালিকাণ্ডের পর শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠে এসেছে। জমি দখল, ভেড়ি দখল, চিংড়ি বিক্রির আড়ালে কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে ওঠে মাদক পাচারের অভিযোগও। ২০২২ সালে উত্তর ২৪ পরগনায় ড্রাগ পাচার নিয়ে ভয়ঙ্কর অভিযোগ তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি নেতৃত্বের তরফে দাবি করা হয়েছিল, কলকাতা বন্দরে আটক হওয়া ২০০ কোটি টাকার হেরোইন কারবারের সঙ্গে জড়িত তৃণমূলের দুই দাপুটে নেতা। এই প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির তরফ থেকে এও জানানো হয়, প্রায় ৪০ কেজি হেরোইন শরিফুল এন্টারপ্রাইজের নামে কলকাতা বন্দরে এসেছিল। সে সময়েই উঠে এসেছিল সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি শেখ শাহজাহান ও সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লক সভাপতি শিবু হাজরার নাম। সে সময়ে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি জলঘোলা হয়নি। এবার শাহজাহান গ্রেপ্তার র হওয়ার পর নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এই মামলা।