নিজস্ব প্রতিবেদন, পুরুলিয়া: ২০১৫ সালে গ্রামবাসীদের দান করা জমিতে তৈরি হয়েছিল প্রাথমিক স্কুল। সেই থেকেই পথচলা স্কুলটি এখন এলাকায় মডেল। পুরুলিয়া জেলার মানবাজার ৩ নম্বর চক্রের ছোট সাগেন প্রাথমিক বিদ্যালয় শুধু ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রেই এগিয়ে তা নয়, সেই সঙ্গে এলাকার উন্নয়নেও এগিয়ে আসছেন ওই স্কুলের দুই শিক্ষক পার্থ রায় এবং পথিক আচার্য। দুই শিক্ষকের কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত এলাকাবাসী। তাঁদের কর্মকাণ্ডে সামিল হতে এগিয়ে আসছেন এলাকার সমাজসেবীরাও।
আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় এই স্কুল দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। স্কুলের দেওয়ালে আঁকা রয়েছে বিভিন্ন চিত্র এবং বিভিন্ন সচেতনতমূলক বার্তা। এই সব চিত্র এঁকেছেন ওই স্কুলের শিক্ষক পথিক আচার্য। শুক্রবার বিশেষ দিনে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন উদযাপনের পাশাপাশি এলাকাবাসীদের দান করা স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের তিনটি আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করা হয়। সেই সঙ্গে স্কুল চত্বরে ১০০টি লেবুগাছ সহ একটি ফলের বাগানেরও উদ্বোধন করা হয়। এদিন ফিতে কেটে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফলের বাগানের উদ্বোধন করেন মানবাজার ১ নম্বর ব্লকের বিডিও দেবাশিস ধর।
অন্যদিকে ৫০০০ চারা সহ একটি নার্সারির উদ্বোধন করেন মানবাজার ৩ নম্বর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক নন্দদুলাল সিং। স্কুলের শিক্ষক পার্থ রায় জানান, ওই ৫০০০ চারা এলাকার কৃষকদের বিতরণ করা হবে। স্কুলে রয়েছে নিমাই পণ্ডিত পাঠশালা, যেখানে এলাকার আদিবাসী ছেলেমেয়েদের বিনামূল্যে কোচিং করানো হয়। শুধু এলাকার মানুষজনই নয়, স্কুলের কর্মকাণ্ড দেখে গর্বিত প্রশাসনের আধিকারিকরাও। মানবাজার এক নম্বর ব্লকের বিডিও দেবাশিস ধর জানান, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুল সম্পর্কে যে চিন্তাভাবনা, সমাজের প্রতি যে দায়বদ্ধতা, তা দেখে অভিভূত তিনি। বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের যে সততার শিক্ষা তাঁরা দিচ্ছেন, তা স্কুলকে আগামী দিনে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। এলাকাবাসীও জানিয়েছেন, স্কুলের আরও উন্নয়নে তাঁরাও এগিয়ে আসবেন।