শুক্রবার ভোর হতেই নবান্নের দরজাতে বিক্ষোভ দেখাতে হন হাজির ডিএ আন্দোলনকারীরা ৷ নবান্নে ধর্নাতে বসা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে আন্দোলনকারীদের৷ দীর্ঘ ৪৫ মিনিটের টানাপোড়নের পর পুলিশ তাঁদের অবস্থানে বসার জায়গা নির্দিষ্ট করে দেয়। শুক্রবার ভোরের আলো ফুটতেই পুলিশ এবং ডিএ আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে নবান্নের সামনেই ৷ বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারীদের নবান্নের বাসস্ট্যান্ডে অবস্থানে বসার অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ সেই অনুমতিপত্র নিয়ে ওইদিন রাতেই আন্দোলনকারীরা এক দফা ধরনায় বসার চেষ্টা করেন। যদিও সে সময় পুলিশের সঙ্গে বচসা পর রাতে পিছু হটলেও আন্দোলনকারীরা ফের সকালেই আন্দোলনকারীরা শুক্রবার ভোরে অবস্থানে বসার জন্য নবান্নের কাছে পৌঁছে যান ৷
পুলিশের তরফ থেকে প্রথম দিকে ব্যারিকেড দিয়ে আন্দোলনকারীদের পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়। এরপরই তারা নবান্নের সামনের রাস্তায় বসে পড়েন। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, হাইকোর্ট তাঁদের আন্দোলনের জন্য নবান্নের বাসস্ট্যান্ডে অবস্থানের অনুমতি দিলেও পুলিশ তাঁদের সেখানে ঢুকতে দিচ্ছে না ৷ তাই আন্দোলনকারীদের রাস্তাতেই বসে পড়েন ৷ স্বাভাবিকভাবে রাস্তা আটকে যায় ৷ পুলিশের তরফ থেকে আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে উঠে যাওয়ার অনুরোধ করা হলে বাকবিতন্ডা শুরু হয়।
আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে দাবি করা হয়, হাইকোর্টের নির্ধারিত জায়গা না দিলে তাঁরা রাস্তা থেকে উঠবেন না ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নবান্ন চত্বরে বাড়ানো হয় পুলিশি নিরাপত্তা ৷
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ জানান, “আমরা আদালতের নির্দেশ মেনে অবস্থানে বসতে এসেছি ৷ আদালতের নির্দেশ দিয়েছে ২ হাজার স্কোয়ার ফুট জায়গায় আমরা অবস্থান করতে পারব ৷ আমাদের সেই জায়গা না পাওয়া অব্ধি আমরা রাস্তা থেকে উঠব না ৷” প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে উভয়পক্ষের টানাপোড়েনের পরে ব্যারিকেড সরিয়ে নবান্ন সভাঘরের লাগোয়া পুলিশের জন্য নির্ধারিত জায়গাতেই তাঁদের অবস্থানে বসার ব্যবস্থা করা হয় ৷ সেখানেই আন্দোলনকারীরা ধর্নাতে বসেছেন ৷
উল্লেখ্য বড়দিনের আগে সরকারি কর্মীদের জন্য আরও ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বিধানসভায় জানান কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ডিএ দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মের ফারাক আছে। রাজ্যের কাছে ডিএ বাধ্যতামূলক নয় ঐচ্ছিক। আগামী পয়লা জানুয়ারি থেকে ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে এমনটাই জানান মুখ্যমন্ত্রী।