ট্রেন দুর্ঘটনার পর এবার বিহারে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ সেতুর একাংশ

পটনা: ওড়িশার রেল দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বিহারে সেতু বিপর্যয়। রবিবার (৪ জুন) বিহারের খাগরিয়া জেলার পারভাট্টা থানা এলাকায় গঙ্গার উপর ভেঙে পড়ল একটি নির্মীয়মাণ সেতুর একাংশ। আগুয়ানিঘাট- সুলতানগঞ্জ সেতুটি খাগরিয়া জেলার সঙ্গে ভাগলপুর জেলার সংযোগকারী সেতু। এদিন নির্মীয়মাণ সেতুটির তিনটি স্তম্ভ ভেঙে, সেতুটির কিছুটা অংশটি গঙ্গায় তলিয়ে যায়। গঙ্গা বক্ষ থেকে ১০০ মিটার উচ্চতায় এই সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছিল। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই পৌঁছেছেন স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা। এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কর্মকর্তারা সেতুটির ক্ষতির পরিমাণ বিশ্লেষণ করছেন। ভাগলপুরের এসডিও ধনঞ্জয় কুমার বলেছেন, তআমরা সেতুটির স্তম্ভ এবং একাংশ ভেঙে পড়ার খবর পেয়েছি। ঘটনাটি পারভাট্টার। আমরা সেতু নির্মাণের সঙ্গে জড়িত ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন পর্যন্ত কোনও প্রাণহানির বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই। দঅল ইন্ডিয়া রেডিও-র পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেতুটি ভেঙে পড়ার একটি ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে। ভিডিয়ো ক্লিপটিতে মাঝখান থেকে সেতু ভেঙে গঙ্গায় পড়ে যেতে দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যা ৭টা বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। রবিবার থাকায় অল্প সংখ্যক শ্রমিক সেখানে উপস্থিত ছিল এবং ওই স্থানে কোনও নির্মাণকাজ বন্ধ ছিল। সেই কারণেই বড় মাপের বিপর্যয় ঘটেনি। গঙ্গা নদীর উপর নির্মীয়মাণ এই সেতুটি চার লেনের, নির্মাণের আনুমানিক ব্যয় ১,৭১০ কোটি টাকা। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এই সেতুটি নির্মীয়মাণ অবস্থায় ভেঙে পড়ল। গত বছরের ৩০ এপ্রিল প্রবল ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টির কারণে সেতুটির সুলতানগঞ্জের দিকের একটি স্তম্ভ ভেঙে পড়েছিল। বলাই বাহুল্য, জোড়া দুর্ঘটনার কারণে সেতুটি নির্মাণের সময় ও খরচ দুইই বাড়বে।দুই দুর্ঘটনার পর, সেতুটির গুণমান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ভাগলপুরের জেলাশাসক কুমার অনুরাগ বলেছেন, ত৯ নম্বর স্তম্ভ এবং ১৩ নম্বর স্তম্ভের মধ্যে সেতুর স্ল্যাব ধসে পড়েছে। আমরা কোনও ধরনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাইনি। ধসের কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।দ এই দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে সুলতানগঞ্জের বিধায়ক ললিত কুমার মন্ডল বলেছেন, তবড় গাফিলতির জন্য়ই এটা ঘটল। এই ঘটনার বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হবে এবং দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে।দ জেডিইউ বিধায়ক আরও জানিয়েছেন, এদিনের ঘটনার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে জানানো হয়েছে। অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হবে। তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে নির্মাণের জন্য নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen + seventeen =