আরসিবির জন্য ২০১ রানের লক্ষ্য বড় কিনা বলা মুশকিল। তবে পাওয়ার প্লে-তেই ফাফ ডুপ্লেসি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মতো বিধ্বংসী দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তাদের কাছে বড় বাধা, বিরাট তখনও ক্রিজে। পাওয়ার প্লে-তে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫৮ রান তোলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। আরসিবির মূল ভরসা টপ থ্রি। এ মরসুমে এই ম্যাচের আগে আরসিবির ৭৯ শতাংশ রান করেছেন বিরাট কোহলি, ফাফ ডুপ্লেসি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এর মধ্যে দু-জনকে আগেই ফিরিয়েছিল কেকেআর। কেকেআরের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার সূয়াশ শর্মা পাওয়ার প্লে-তেই ডুপ্লেসি, শাহবাজের উইকেট নেন। ত্রয়োদশ ওভারে রাসেলের বোলিংয়ে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের অনবদ্য ক্যাচে বিরাট কোহলি ফিরতেই ক্রমশ জয়ের গন্ধ পেতে থাকে কেকেআর শিবির। প্রয়োজন ছিল নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নেওয়া। সেই কাজটাই করে দেখাল কেকেআর। ১৮তম ওভারে দীনেশ কার্তিক ফিরতেই ম্যাচ কেকেআরের পকেটে। শেষ অবধি ২১ রানের জয়। ইডেনের পর চিন্নাস্বামীতেও জয়, আরসিবির বিরুদ্ধে এ মরসুমে ২-০ কেকেআরের। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। চোটের কারণে ফাফ ডুপ্লেসি নেতৃত্ব দিচ্ছেন না। তিনি শুধু ব্যাটিং করছেন। আরিসিবি নেতৃত্ব ফের বিরাট কোহলির হাতে। অ্যাওয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে হেরেছিল আরসিবি। ফলে ঘরের মাঠে বদলার ম্যাচ ছিল আরসিবির কাছে। কলকাতা নাইট রাইডার্স কার্যত খাদের কিনারায়। প্রথম সাত ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুটি জয়। ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ছিল কলকাতাও। চিন্নাস্বামীতে প্রথমে ব্যাট করলে কতটা রান সুরক্ষিত এটা বোঝা কঠিন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্ষেত্রেও তাই হল। জেসন রয় অনবদ্য ছন্দে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে অর্ধশতরান করলেন জেসন। মরসুমে প্রথম বার ৫০-র বেশি যোগ হল কেকেআরের ওপেনিং জুটিতে। তবে ওপেনিং জুটি ভাঙতেই খেই হারাল কেকেআর। পরপর ফেরেন দুই ওপেনার। জেসন রয় ৫৬ রান করেন। জগদীশন করলেন ২৯ বলে ২৭ রান। কেকেআর ইনিংসে গতি বাড়ান নীতীশ রানা। অল্পের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া হয় কেকেআর অধিনায়কের। ৪৮ রানে ফেরেন তিনি। শেষ অবধি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২০০ রান করে কলকাতা।