দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রে সাম্প্রতির গোষ্ঠীহিংসার জেরে ধর্মীয় শোভাযাত্রা নিয়ন্ত্রণে তৎপর হলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। মঙ্গলবার এ বিষয়ে সরকারি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি টুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, ‘অনুমতি ছাড়া কোনও ধর্মীয় শোভযাত্রার আয়োজন করা যাবে না।’ পাশাপাশি, প্রশাসনিক কর্তাদের উদ্দেশের যোগীর টুইট-বার্তা, ‘শুধু মাত্র সেইসব ধর্মীয় শোভাযাত্রা অনুমতি দেওয়া উচিত, যে গুলি ঐতিহ্যবাহী। নতুন কোনও অনুষ্ঠানের অপ্রয়োজনীয় অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।’
कोई शोभायात्रा/धार्मिक जुलूस बिना विधिवत अनुमति के न निकाली जाए।
अनुमति केवल उन्हीं धार्मिक जुलूसों को दिया जाए, जो पारंपरिक हों, नए आयोजनों को अनावश्यक अनुमति न दी जाए:#UPCM श्री @myogiadityanath जी pic.twitter.com/UWpzyDK1rS
— CM Office, GoUP (@CMOfficeUP) April 19, 2022
গত শনিবার সন্ধ্যায় একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে হিংসা ছড়িয়েছিল দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী এলাকায়। মহারাষ্ট্রের মুম্বই ও অমরাবতী এমনকী, দক্ষিণের রাজ্য কর্নাটক থেকেও গোষ্ঠীহিংসার খবর এসেছে। এই আবহে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সক্রিয় হয়েছে যোগী সরকার।
ধর্মীয় মিছিল নিয়ে যোগী নির্দেশ দিয়েছেন, ‘অনুমতি ছাড়া কোনও শোভাযাত্রা বের করা যাবে না। যদি মিছিল বের করতে হয়, তাহলে মিছিলের আয়োজকদের লিখিত ভাবে জানাতে হবে যে ওই মিছিলে শান্তি বজায় রাখা হবে।’ এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, ‘পরম্পরাগতভাবে যে শোভাযাত্রাগুলি হয়ে থাকে, শুধুমাত্র সেগুলিকেই অনুমতি দেওয়া হবে। নতুন কোনও ধরনের ধর্মীয় মিছিল করা যাবে না।’ অক্ষয় তৃতীয়া এবং ইদ একই দিনে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মনে করা হচ্ছে সেই কারণেই এমন আঁটসাঁট নিয়ম চালু করছেন যোগী।
এছাড়াও বিভিন্ন জেলার ধর্মীয় নেতৃত্ব এবং বিশিষ্ট মানুষের সঙ্গে অধিকারিকদের কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন যোগী। উস্কানিমূলক মন্তব্য ছড়ালে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তিনি। যে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান যেন ধর্মস্থানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, ট্রাফিকের সমস্যা যেন সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।