নিজস্ব প্রতিবেদন, বর্ধমান: হাইকোর্টের রায়ে ২০১৬ সালে সমস্ত প্যানেল বাতিল হয়েছে, ২৬ হাজারের ওপর শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী সহ বিভিন্ন মানুষ চাকরি হারিয়ে এখন বেকার হয়ে বাড়িতে। তেমনই মঙ্গলবারের বাতিল হওয়া লিস্ট অনুযায়ী, পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের কাঁকনাইল এলাকার বাসিন্দা তথা কালনা এক নম্বর ব্লকের তেহাটা হাইßুñলে কর্মরত অশিক্ষক কর্মী খোকনলাল বিশ্বাসেরও চাকরি নেই। তাঁর দাবি, ছেলেমেয়ে, বউ নিয়ে কার্যত পথে বসার জোগাড় তাঁর।
এদিন মঙ্গলবার তাঁর বাড়িতে বসে খোকনবাবু সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘২০১৮ সালে পরীক্ষা দিয়ে কার্যত ভালো নম্বর পেয়ে চাকরিতে যোগদান করি, আমরা কোনও রকমই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নই, যারা দুর্নীতি করল তাদের সঙ্গে আমাদের কেন বাতিল করা হল।’ পাশাপাশি তিনি আরও সংযোজন করেন, ‘যদি এই মুহূর্তে আমাদের টাকা সুদ সমেত দিতে হয়, তা হলে দেহের অঙ্গ বিক্রি করে আমাকে টাকা দিতে হবে।’
তাঁর দাবি, মায়ের অসুস্থতার কারণে প্রচুর টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। মাসে মাসে তার সুদ গুনতে গিয়ে নিজস্ব বাড়িটাও বিক্রি করে ফেলেছেন খোকনলালবাবু, বর্তমানে ছেলেমেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে একটি ভাড়া বাড়িতে তিনি থাকেন। এমতবস্থায় তাঁর পরিবারে কোনও একটি দুর্ঘটনা ঘটালে তার দায় কি বিচারপতি নেবেন? প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি। যদিও এদিন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি দাবি করে এসেছেন, স্বচ্ছ ভাবেই তিনি চাকরি পেয়েছেন, দুর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গে তাঁর মতো অনেককেই গুলিয়ে ফেলে চাকরিটা তাঁকেও খোয়াতে হয়েছে হাইকোর্টের রায়ে।