রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তেও কোটির ওপর নগদ উদ্ধার, খবর ইডি সূত্রের

রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে, তদন্ত এগোতেই দাবি ইডির। চালকল ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন নথি, ডায়েরি দেখে সে ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত তদন্তকারীরা। বাকিবুর ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেপ্তারের পর সেই সব টাকার সন্ধানে লাগাতার তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডির গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডের দফতরে থেকে ১ কোটি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তল্লাশিতে পাওয়া গিয়েছে আরও চল্লিশ লক্ষ টাকা ক্যাশ। সূত্রের খবর, বাঁকুড়ার দু’টি কোম্পানি থেকে মিলেছে ১৬ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।
মেসার্স এজে এগ্রোটেক ও মেসার্স এজে রয়েল প্রাইভেট লিমিটেড –  এই দুই সংস্থার লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারী অধিকারিকরা। দুর্নীতি মামলায় উদ্ধার মোট টাকার পরিমাণ ১৮ কোটি ২০ লক্ষ।

রেশন দুর্নীতির তদন্তে শনিবার ভোর থেকে টানা তল্লাশি অভিযানে নামেন ইডির গোয়েন্দারা। চাল কল, আটা কল, রেশন ব্যবসায়ী, ফড়ে—এই তল্লাশি অভিযানে কিছুই বাদ রাখা হয়নি। উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ায় একাধিক চালকল, উলুবেড়িয়ার একটি মিলে হানা দিয়েছে ইডি। ডায়েরি থেকে নথিপত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডি সূত্রে বলা হচ্ছে, রেশন দুর্নীতির কাণ্ডে বেশ কিছু ফড়ে ও ব্যবসায়ী জড়িত। এই সূত্রেই উঠে এসেছে অঙ্কিত চান্দক ও দীপেশ চান্দক নামে দুই ব্যবসায়ীর নাম। এর মধ্যে দীপেশ চান্দককে ২০০৪ সালে বিহারে পশুখাদ্য মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আদালতের মামলাপত্রেও ইডি জানিয়েছে যে রেশনে আটার বস্তা থেকে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত সরানো হত। অথচ সেই কম ওজনের বস্তার জন্যই রেশন ডিলাররা পুরো দাম দিয়ে দিতেন। আবার সেই টাকা সরকারের থেকে আদায় করা হত। এই করে বেশ কিছু হাত ঘুরে এক প্রকার একটা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল। ইডির দাবি, ওই টাকাতেই প্রচুর সম্পত্তি করেছেন বাকিবুর রহমান। ইডির মতে, হতেই পারে বাকিবুরের নামে বেআইনি সম্পত্তি করেছিলেন মন্ত্রী। তা ছাড়া মন্ত্রীর স্ত্রী ও মেয়ের অ্যাকাউন্টেও ১০ কোটি টাকা ক্যাশ জমা হয়েছিল।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve + 16 =