নিজস্ব প্রতিবেদন, অশোকনগর: ভারতবর্ষের রাজনীতিতে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা না রাখার ঘটনা বারংবার দেখা গিয়েছে। কিন্তু গত ৩০ বছর আগে থেকে প্রতিশ্রুতি পূরণ করে ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক চরিত্র হয়ে উঠেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে নতুন প্রজন্মের ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পূরণ করে দেখালেন। শনিবার অশোকনগর বিধানসভার বাঁশপোল এলাকায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের দ্বারা বঞ্চিত উপভোক্তাদের হাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়ে এমনই মন্তব্য করেন অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী।
১০০ দিন, আবাস যোজনা সহ একাধিক প্রকল্পের বাংলার হকের টাকা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আটকে রেখেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ কাজ করেও তার প্রাপ্য টাকা না পেয়ে নিদারুণ সমস্যার মধ্যে রয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবার কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। পরবর্তীতে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের হকের টাকা আদায়ের জন্য আন্দোলন শুরু করেন। দিল্লি গিয়ে ধরনা, রাজভবনের সামন্যে সত্যাগ্রহ চালিয়ে গিয়েছেন।
দিল্লিতে দাঁড়িয়ে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার মানুষকে সাধ্যমতো সহযোগিতা করবেন। সেই অনুসারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আজ, শনিবার অশোকনগর বিধানসভা এলাকার বাঁশপুল অঞ্চলে সেই সমস্ত বঞ্চিত মানুষদের আর্থিক সাহায্য করা হয়। কেন্দ্র তাঁদের বকেয়া না মেটালেও, মানুষের স্বার্থে তৃণমূল কংগ্রেসের সেনাপতি তাঁর প্রতিশ্রুতি পালন করে দেখিয়ে দিলেন তিনি ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এভাবেই চিরকাল তৃণমূল কংগ্রেস মা-মাটি-মানুষের সেবা করে যাবে বলে জানান নারায়ণ গোস্বামী।