ইডির ডাকে সিজিও কমপ্লেক্সে গেলেন। ৬০০০ পাতার নথি দিয়ে ১ ঘণ্টায় বেরিয়েও এলেন অভিষের বন্দ্যোপাধ্যায়। এক ঘণ্টায় যে তিনি ছাড়া পেয়ে যাবেন ভাবতেই পারেননি কেউ।কারণ এর আগে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চলেছে বহুক্ষণ।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৫ মিনিটে অভিষেকের কালো রঙের গাড়িটি প্রবেশ করে সিজিও চত্বরে। আর ১২টা বেজে ৬ মিনিটে দেখা গেল সাদা শার্ট আর কালো ট্রাউজার পরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হাঁটতে হাঁটতে বেরিয়ে আসেন সিজিও কমপ্লেক্সের গেট পেরিয়ে।
সংহাদ মাধ্যমের সামনে অভিষেক বলেন, ‘ওঁরা তথ্য চেয়েছিলেন। আমি ওঁদের ৬০০০ পাতার নথিপত্র জমা দিয়ে এসেছি। ওঁরা বলেছেন, এত নথি দেখতে সময় লাগবে। দরকার পড়লে আপনাকে আবার ডেকে পাঠাব।’
অভিষেকের কথায়, তিনি চাইলে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক নথি পাঠিয়ে দিয়ে দায় সারতে পারতেন। কিন্তু তাঁর লুকনোর কিছু নেই। জানিয়ে দিলেন, ‘যত বার ডাকবে তত বার আসব।’
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার সময় অভিষেককে আসতে বলা হয়েছিল সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। যদিও তার অনেক আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সিজিও চত্বরকে মুড়ে ফেলা হয় কড়া নিরাপত্তার চাদরে। ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ নিজের বাড়ি থেকে বার হন অভিষেক। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় উপস্থিত জনতাকে লক্ষ্য করে হাতও নাড়েন তিনি। ঠিক ১১টা বেজে ৫ মিনিটে তিনি পৌঁছে যান ইডি দপ্তরে। গত ১০ অক্টোবর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ইডির কাছে তাদের চাওয়া সমস্ত নথি জমা দিয়েছিলেন অভিষেক। অভিষেকের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব ছাড়াও বিদেশ সফরের বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছিল ইডির তরফে। চাওয়া হয়েছিল তাঁর নামে থাকা সংস্থার কিছু নথিও।