পুলিশের অত্যাচারে আহত অভয়ার মা-বাবা হাসপাতালে, দেখতে গেলেন শুভেন্দু

কলকাতা : তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারা হয়েছে। এমনভাবে মারা হয়েছে আঘাত পেয়েছেন মাথায়। ভেঙে গিয়েছে তাঁর শাঁখাও। অভিযোগ করেছেন অভয়ার মা। রক্ত ঝরেছে অভয়ার বাবারও। এই পরিস্থিতিতে অসুস্থ অভয়ার মা-কে নিয়ে যাওয়া হল মেডিকা হাসপাতালে। তাঁর মাথায় চোট লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে। অসুস্থ অভয়ার মা-কে দেখতে হাসপাতালে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন আগাগোড়া অভয়ার বাবা-মার সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচি। তিনি তাঁদের আঘাত পাওয়ার প্রসঙ্গে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, “আমি কাকু-কাকিমার সঙ্গে ছিলাম। যেভাবে পুলিশ প্রথম থেকে তাঁদের টার্গেট করে নিয়েছিল, তাঁদের উপর কোনওভাবে আঘাত হানবেই, আমি এবং আমাদের কিছু ছেলে সবসময় তাঁদের আগলে আগলে রাখছিলাম।

ঠিক যখন ধর্মতলা থেকে পার্ক স্ট্রিট মোড়ের যে ক্রসিংটা সেখানে দেখলাম পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটা ভোঁতা জিনিস দিয়ে কাকিমার মাথায় মারল এবং কাকুকেও আঘাত করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু, কাকুর অতটা মাথায় আঘাত লাগেনি। কাকুর আঘাত লেগেছে পিঠে।

কাকিমার মাথায়-পিঠে লেগেছে। কাকিমার হাতের শাঁখাটা পর্যন্ত ভেঙে দিয়েছে। আগের বছর ৯ তারিখে মেয়েকে মেরেছে, ধর্ষণ করে খুন করেছে। আর এবছর ৯ তারিখে বাবা-মাকে হত্যা করার চক্রান্ত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

এর আগে নির্যাতিতার বাবা-মা জনা কুড়ি আন্দোলনকারীকে সঙ্গে নিয়ে এগোচ্ছিলেন নবান্নের দিকে। বেলা ২টো ২১ মিনিটে রেসকোর্সের কাছে পুলিশ ব্যারিকেডে আটকে যান নির্যাতিতার বাবা-মা। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকা আন্দোলনকারীরা।

বেলা দুটো ২৭-এ পুলিশের ব্যারিকেডে উঠে এই এই পড়েন নির্যাতিতার বাবা-মা। ব‍্যারিকেড থেকে নেমে রাস্তার এক পাশে গিয়ে ব‍্যারিকেডের ফাঁক দিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন নির্যাতিতার বাবা। বলেন, ‘‘আমাদের তো হাইকোর্ট অনুমতি দিয়েছে, আপনারা আটকাচ্ছেন কেন? আমরা তো শান্তিপূর্ণ ভাবেই যাচ্ছি। ছেড়ে দিন। আমাদের যেতে দিন।’’ পুলিশের থেকে কোনও উত্তর না-পাওয়ায় সেখানেই অবস্থানে বসার ভাবনাচিন্তা শুরু করেন নির্যাতিতার বাবা-মা।

এর আগে, ডোরিনা ক্রসিংয়ে পৌঁছোন নির্যাতিতার বাবা-মা। সেখানে আসতে গিয়ে বার বার বাধা পেতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিতার বাবা। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা যে গাড়ি করে আসছিলাম, তার নম্বর সব জায়গা দেওয়া হয়েছে। আমাদের গাড়ি বার বার আটকানো হয়েছে। বলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি করে এখানে পৌঁছেছি। হাই কোর্ট শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অনুমতি দিয়েছে। তার পরেও বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড করেছে পুলিশ।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 + 16 =