ফের সমস্যার মুখে দিল্লির আপ সরকার (AAP)। রবিবার দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা জানিয়ে দিলেন, সরকারের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে সিবিআই (CBI)। এক হাজার বাস কেনা নিয়ে সরকারি দুর্নীতির তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই দিল্লির মুখ্যসচিব একটি রিপোর্ট পেশ করে জানিয়েছিলেন, বাস কেনা প্রসঙ্গে সিবিআই তদন্ত করার প্রয়োজন আছে। বাস কিনতে যে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল, সেখানে দুর্নীতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করেন দিল্লির (Delhi) উপরাজ্যপাল।
জানা গিয়েছে, তৎকালীন পরিবহণ মন্ত্রীকেই টেন্ডার ডাকা এবং বাস কেনা সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছিল। সেই সঙ্গে টেন্ডার সংক্রান্ত কার্যাবলি পরিচালনা করার জন্য নির্দিষ্ট একটি ম্যানেজমেন্ট সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেই সংস্থার সাহায্যে সরকারের পক্ষে বাস কিনতে দুর্নীতি করা সহজ হবে বলে অভিযোগ উঠেছিল। গত বছর এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই বাস কেনার প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেওয়া হয়।
দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দিল্লির মুখ্যসচিব নরেশ কুমারের কাছে রিপোর্ট তলব করেন সাক্সেনা (Delhi LG)। মুখ্যসচিবের রিপোর্টে বলা হয়, ভিজিল্যান্স কমিশনের নীতি মেনে টেন্ডার ডাকা হয়নি। দিল্লির পরিবহণ দপ্তরের বিরুদ্ধেও নিয়ম ভাঙার অভিযোগ রয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির উপরাজ্যপাল।
এদিকে দিল্লি সরকারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, ‘বাসগুলি কেনাই হয়নি। টেন্ডার বাতিল করা হয়েছে। দিল্লির আরও শিক্ষিত লেফটেন্যান্ট গভর্নরের প্রয়োজন। এই ব্যক্তির কোনও ধারণা নেই তিনি কীসে স্বাক্ষর করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে তিনি এই ধরনের তদন্ত শুরু করেছেন। এতদিনের তদন্তে কোনও ফলাফল মেলেনি। তিন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অযৌক্তিক অভিযোগ করার পর তিনি এখন চতুর্থ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন।’ এদিকে আপ সাক্সেনার বিরুদ্ধে তাঁর পদ অপব্যবহারের অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি যখন খাদি ও গ্রামীণ শিল্প কমিশনের (KVC) চেয়ারম্যান ছিলেন সেই সময় মুম্বইতে একটি খাদি লাউঞ্জের অভ্যন্তরীণ ডিজাইনের চুক্তি নিজের মেয়েকে পাইয়ে দিয়েছেন। এই পদে থাকাকালীন ১৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতিরও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এবার বাস ক্রয় নিয়ে তদন্ত সিবিআই-র কাছে হস্তান্তর হওয়াতে দিল্লিতে সাক্সেনা-বিজেপির রণ আরও এক মাত্রা পেল বলে মনে করা হচ্ছে।