বারুইপুরে বিশাল টেলি অ্যাকডেমি  কমপ্লেক্স, ভার্চুয়াল উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা: চলচ্চিত্র চর্চা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এই বাংলাতেই করল রাজ্য সরকার। চলচ্চিত্র ও টেলি শিল্পে গতি আনতে বারুইপুরের টং তলায় ১০ একর জমির উপরর নির্মিত হল টেলি অ্যাকাডেমি কমপ্লেক্স। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে তারই উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এটা নতুন গন্তব্য। উন্নত ধরনের পরিকাঠামোয় শ্যুটিং করা যাবে এখানে। বারুইপুরে টেলি অ্যাকাডেমি বিল্ডিং তৈরি হয়ে গিয়েছে। এটা আপনাদের বড় প্রাপ্য। ১৩২ কোটি ৫০ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। ফ্লাইওভারও করে দেওয়া হয়েছে। টেলি অ্যাকাডেমির নিজস্ব ইনস্টিটিউট, ফিল্ম তৈরির জায়গা, সিরিয়ালের জন্য স্টুডিও থাকছে।’


বাংলা বিনোদন জগতের একটা বড় অংশ জুড়েই রয়েছে টেলি সিরিয়াল। এই শিল্পের সঙ্গে অভিনেতা, অভিনেত্রী, টেকিনশিয়ান, কলা-কুশলী মিলিয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অসংখ্য মানুষ জড়িয়ে। এটাই তাঁদের রুজি-রুটি। এতে তাঁরা উপকৃত হবেন বলেই মুখ্যমন্ত্রীর আশা। বারুইপুরের টং তলায় সরকারের উদ্যোগে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এই কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছে। তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় পূর্বভারতের প্রথম কমপ্লেক্স তৈরি সম্ভব হয়েছে। টেলিভিশন ও ডিজিটাল মাধ্যমের শ্যুটিংয়ের জন্য সমস্ত রকম সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ফিকশন, নন ফিকশন দুইয়েরই শ্যুটিং এখানে করা যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘কোভিডের সময় মানুষ যখন একেবারে ঘরের মধ্যে আবদ্ধ ছিলেন, তখন তাঁদের সঙ্গী ছিল টেলিভিশন। নাটক, সিনেমা, সিরিয়াল আমাদের সংস্কৃতি। যাঁরা সিরিয়াল করেন,তাঁদের তো কোনও তুলনাই হয় না। নিজের সিরিয়ালের প্রতি অনুরাগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকে বাড়ির সমস্ত কাজ, রান্নাটাও সময়মতো করে নেন শুধুমাত্র টিভি দেখার জন্য। আমি নিজেও সিরিয়াল দেখি কিন্তু। রাতের দিকে যতটা সময় পাই, ততটা সময় সিরিয়াল দেখি।’
এখানে টেলিভিশন, চলচ্চিত্র চর্চায় উৎসাহী ছেলেমেয়েদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তার সঙ্গে চলবে ওয়ার্কশপও। পাশাপাশি তাঁদের থাকা-খাওয়ার জন্য হোস্টেল, ক্যান্টিনের ব্যবস্থাও রয়েছে। মোট চারটি স্টুডিয়ো রয়েছে এই কমপ্লেক্সে। এদিন পরিচালক-প্রযোজকদের বাংলাতেও শুটিং করার আবেদন জানিয়ে মমতা ব¨্যােপাধ্যায় বলেন, ‘বাইরে শুটিং করতে তো যান। বাংলাতেও অনেক জায়গা করা হয়েছে। শঙ্খের আদলে স্টেডিয়ামটি তৈরি করেছিলাম। মিলন মেলার গ্রাউন্ডকে বড় করার কাজ মার্চেই শেষ হবে। ইকো ট্যুরিজম পার্ক রয়েছে। সেখানেও শুটিং করতে পারেন। সরকার আপনাদের সাহায্য করবে। কারণ আপনারা আমাদের গর্ব।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − fifteen =