প্রথম দিনেই ৪ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষের যোগদান! প্রথম দিনেই সাফল্যের নতুন নজির তৈরি করল চলতি বছরের শেষ দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। বিভিন্ন সরকারি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে মসৃণভাবে পৌঁছে দিতে রাজ্যজুড়ে শুক্রবার থেকেই অষ্টম দফায় দুয়ারে সরকার শিবির কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, এদিন গোটা রাজ্যে ৯ হাজার ৯৪ টি শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত শিবিরগুলিতে ৪ লক্ষ ৫৭ হাজার পাঁচশো আট জন নাগরিক এসেছেন। উল্লেখ্য, ৩৬ টি পরিষেবার আবেদন গ্রহণের জন্য প্রথম দফায় আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত ১ লখের বেশি শিবির আয়োজনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এবারেও লক্ষ্মীর ভান্ডার, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, প্রতিবন্ধকতার শংসাপত্র, কাস্ট সার্টিফিকেট, তপসিলি বন্ধু, মেধাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, জয় জোহার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, মানবিক, বিধবা ভাতা, কৃষকবন্ধু, কিষান ক্রেডিট কার্ড (কৃষি এবং প্রাণীপালন), বাংলা কৃষি সেচ যোজনা, ঐক্যশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, কৃষিজমির মিউটেশন, পাট্টার জন্য আবেদন, মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড, বিদ্যুতের সংযোগ এবং বকেয়া বিদ্যুৎবিল আংশিক মকুব, বার্ধক্য ভাতা, হস্তশিল্পী, তাঁতশিল্পী এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের নিবন্ধীকরণ-এর জন্য আবেদন করা যাবে। এরই সঙ্গে আবেদন করা যাবে ক্ষুদ্র ছোট ও মাঝারি শিল্পদ্যোগীদের উদ্যম পোর্টালের অনলাইন নিবন্ধীকরণ এবং উদ্যানজাত ফসলের সুরক্ষিত চাষের জন্য আবেদনপত্র গ্রহণ করার কাজ করা হবে।
দুয়ারে সরকার শিবির-এ শুধুমাত্র বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে না। বিভিন্ন পাড়ায় যে স্থানীয় এবং জরুরি সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান করার জন্য আবেদনও গ্রহণ করা হবে। জানানো হয়েছে, ‘পাড়ায় সমাধান’ ,এর আবেদন নেওয়া হবে ১৫ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবারের দুয়ারে সরকারের কর্মসূচিতে রাজ্যজুড়ে প্রায় ২ লক্ষ্য শিবির গড়ে তোলা হবে। তাতে ৩৬ ধরনের পরিষেবা দেওয়া হবে। এছাড়া আদিবাসী এলাকা এবং সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভ্রাম্যমাণ শিবিরের ব্যবস্থা করা হবে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুয়ারে সরকার ঠিকমতো চলছে কিনা তা দেখার জন্য দায়িত্বে থাকবেন ৪০ জন সিনিয়ার আধিকারিক। এছাড়া, রাজ্য জুড়ে ৪৫০ টি কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। এছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা থাকবে। উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার গত তিন বছরে এখনও পর্যন্ত ৮ কোটি মানুষ দুয়ারে সরকারের শিবির থেকে পরিষেবা পেয়েছেন।