ফের ঝালদা পুরসভায় নতুন প্রধান নির্বাচিত

নিজস্ব প্রতিবেদন, পুরুলিয়া: শনিবার ফের পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় পুরপ্রধান নির্বাচিত হল। এদিন সকাল থেকেই ঝালদা পুরসভা চত্বরে মোতায়েন ছিল পুলিশ বাহিনী। বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ছিল পুরসভা। তৃণমূলের পুরপ্রধানকে হঠাতে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের অলিখিত জোট রণকৌশল নেয়। সেই দিকেই তাকিয়েছিল ঝালদাবাসী সহ গোটা জেলাবাসী।
১২ আসন বিশিষ্ট ঝালদা পুরসভায় বর্তমানে সমীকরণ রয়েছে তৃণমূলের ১০ এবং কংগ্রেসের ২। পুরপ্রধান রয়েছেন তৃণমূলের শীলা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু ঝালদায় পুরপ্রধানের কুর্সি দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছিল বলে দাবি। এনিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে বলেও দাবি। তৃণমূলের পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়কে হঠাতে একত্রিত হয়ে অনাস্থা আনেন তৃণমূলের ৫ এবং কংগ্রেসের ২ কাউন্সিলর।
গত ১৭ জানুয়ারি এই মর্মে তলবি সভাও হয় ঝালদা পুরসভায়। তৃণমূলের ৫ এবং কংগ্রেসের ২ কাউন্সিলর পুরপ্রধান অপসারণের পক্ষে ভোট দেন। বাকি ৫ তৃণমূল কাউন্সিলর তলবি সভায় অনুপস্থিত ছিলেন। কিন্তু পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাদ্যায় সেই তলবি সভাকে বৈধ বলে মেনে নেননি বলে জানা যায়। কারণ ওই সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগের দিনই বিজ্ঞপ্তি জারি করে ১৭ জানুয়ারির তলবি সভা বাতিল করার নির্দেশিকা জারি করে।
কিন্তু সেই বিজ্ঞপ্তিকে অগ্রাহ্য করেই তলবি সভা হলেও পুরপ্রধান কুর্সি আঁকড়ে থাকেন বলে দাবি। তাই অনাস্থাকারীদের তরফে ঝালদা পুরসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের বিপ্লব কয়াল কলকাতা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। কলকাতা উচ্চ আদালত এই মামলায় অনাস্থা আনা ৭ কাউন্সিলরের মধ্যে যে কোনও ৩ জন কাউন্সিলর পুরপ্রধান নির্বাচনের নোটিশ জারি করার নির্দেশ দেয়। সেই মোতাবেক ৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিন ধার্য করেন অনাস্থা আনা কাউন্সিলররা।
সেই পরিপ্রেক্ষিতেই শনিবার ৬-০ ভোটে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা থেকে অপসারিত হলেন পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়। নতুন পুরপ্রধান নির্বাচিত হলেন তৃণমূল কাউন্সিলর সুরেশ আগরওয়াল। এদিনের নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের ৫ এবং কংগ্রেসের ১ কাউন্সিলর। অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের ৫ এবং কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − six =