কষ্টার্জিত স্বস্তির জয় ইস্টবেঙ্গলের

শুরু থেকে কার্যত ছন্নছাড়া ফুটবল। কী ভাবে জয়ের রাস্তায় ফেরা যায়, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। ম্যাচের শুরুতেই ক্লেটন সিলভার অনবদ্য একটা ফ্রি-কিক। টার্গেটেই ছিল সেই সোয়ার্ভিং কিক। যদিও চেন্নায়িন গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদার কোনও ভুল করেননি। গত কয়েক ম্যাচে প্রথম একাদশে নানা পরিবর্তন করেছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। টিম এখনও সেট নয়। ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় বর্তমানে সমস্যা হচ্ছে না তো! যুবভারতী স্টেডিয়ামে অবশ্য সমস্যা হল না। সৌজন্যে নন্দকুমার। তাঁর এক গোলই দু-দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিল।

পয়েন্ট টেবলে প্রথম ছয়ে শেষ করাই লক্ষ্য লাল-হলুদের। তবে ধারাবাহিকতা বজায় না থাকায় সেই রাস্তা কঠিন মনে হচ্ছিল। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জয়ের পর গত ম্যাচে জামশেদপুরের মাঠে হার। এ দিন ঘরের মাঠে চেন্নায়িনের বিরুদ্ধেও বেশ কিছু সুযোগ তৈরি হয়। যদিও গোলে শট কিছুতেই হচ্ছিল না। অবশেষে ম্যাচের ৬৫ মিনিটে কাঙ্খিত গোল। বক্সের ডান দিক থেকে নন্দ কুমারের শট, প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের ডিফ্লেশনে জালে জড়িয়ে যায়। দু-দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয় এই গোলই।

ইস্টবেঙ্গলের তরুণ প্লেয়ার বিষ্ণু অনবদ্য পারফর্ম করেন। তবে আবারও নিজেকে বড় ম্যাচের প্লেয়ার প্রমাণ করলেন নন্দকুমার। ম্যাচের সেরাও তিনি। এই মরসুমে পাঁচ গোল নন্দকুমারের। টার্গেটে একটিই শট। সেটিই গোল। এ বারের লিগে ভারতীয়দের মধ্যে সর্বাধিক গোল নন্দকুমারেরই। ম্যাচের সেরা নন্দকুমার বলেন, ‘খুবই কঠিন ম্যাচ ছিল। চেন্নায়িন ভালো খেলেছে। অবশেষে তিন পয়েন্ট পেয়েছি এটাই স্বস্তির। এরকম কঠিন ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট পাওয়ায় পরের ম্যাচের জন্য বাড়তি আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − two =