বড়দিনে কলকাতার আশপাশে ঘোরার কয়েকটি ঠিকানা

সুস্মিতা মণ্ডল

বড়দিন মানেই শীত মেখে বেরিয়ে পড়া। সঙ্গে কেক, ডিম সেদ্ধ, কমলালেবু। সময় বদলেছে। তবে বড়দিনের বেড়ানোর আনন্দে ভাটা পড়েনি। তবে এই দিনে ভিড় এড়িয়ে অনেকেই চান কলকাতার আশপাশে ঘুরতে। তারই কয়েকটি ঠিকানা

শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন-হাওড়ার শিবপুর এটি একটি উদ্ভিদ উদ্যান। প্রকৃতির সান্নিধ্য যাদের পছন্দ তাঁরা এখানে যেতে পারেন। অসংখ্য গাছগাছালিতে ভরা এই গার্ডেনে এলে মনে হবে কলকাতার বুকে এ যেন একেবারে আলাদা কোনও জায়গা। ১৪০০ প্রজাতির ১৭ হাজারের বেশি গাছ রয়েছে এখানে। তবে প্লাস্টিক জাতীয় জিনিস নিয়ে ঢোকায় কড়াকড়ি এখানে। শুধু ঘোরার জন্য হলে কয়েকটা ঘণ্টা এখানে ভালভাবে আনন্দ করা যায়।

কীভাবে যাবেন- হাওড়া স্টেশন থেকে শিবপুরগামী বাসে বোটানিক্যাল গার্ডেন

 

ভালকিমাচান- সবুজের মধ্যে নিজেকে হারাতে চাইলে চলে যেতে পারেন ভালকিমাচান। গিজগিজে ভিড় এড়িয়ে একটু অন্যভাবে সময় কাটবে। জায়গাটি ভীষণ নিস্তব্ধ। গাছগাছালিতে ভরা। কলকাতার কাছেই বর্ধমান জেলায় অবস্থিত এই ভালকিমাচান জঙ্গল। দূরত্ব মাত্র ১৩৫ কিমি। ভালকিমাচান জঙ্গলে একসময় বর্ধমানের রাজারা ভাল্লুক শিকার করতেন। সেই থেকেই জায়গাটির নাম হয় ভালকিমাচান। এখানে অরণ্য সুন্দরী রিসর্টের সামনে রয়েছে একটি ভাল্লুকের মূর্তি। এই জঙ্গলে রয়েছে প্রচুর পাখি।

কীভাবে যাবেন- হাওড়া থেকে বর্ধমান আসানসোল লাইনের কোনও একটি ট্রেনে চেপে মানকর স্টেশনে নামতে হবে। স্টেশন থেকে ভালকিমাচান এর দূরত্ব মাত্র ১৩ কিমি।গাড়ির ব্যবস্থা আগাম করে রাখলে সুবিধে। থাকার জন্য রয়েছে অরণ্য সুন্দরী রিসর্ট।

রণডিহা-একপ্রান্তে পশ্চিম বর্ধমান, অন্য দিকে বাঁকুড়া। দামোদরের গায়ে একটি ট্যুরিস্ট স্পট রণডিহা। বুদবুদ থানার অন্তর্গত দামোদরের তীরে ছোট্ট এক গ্রাম রণডিহা।  একটি ছোট বাঁধ দিয়ে দামোদরের স্রোতকে বেঁধে রাখা হয়েছে। ইংরেজ আমলে সেচব্যবস্থা প্রথম চালু হয় এখানে।

কীভাবে যাবেন- পানাগড় রেলগেট থেকে একটু এগিয়ে সেনাবাহিনীর বেসক্যাম্পকে বাঁদিকে রেখে সোজা রাস্তায় ছোট্ট একটি ক্যানেল পেরিয়ে রণডিহা ।

গাদিয়াড়া –রূপনারায়ণ, ভাগীরথী এবং হলদি নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত গাদিয়াড়া অবশ্যই একট সুন্দর টুরিস্ট স্পট। পর্যটন কেন্দ্রের পশ্চিমপাড়ে পূর্ব মেদিনীপুরের গেঁওখালি ও দক্ষিণপাড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নূরপুর ও রায়চক। নদী পেরিয়ে ঘুরে আসতে পারেন পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল রাজবাড়িতে।

কীভাবে যাবেন- কলকাতা ধর্মতলা থেকে বাসে মাত্র দু’ঘণ্টা এবং গাড়িতে দেড় ঘণ্টার যাত্রাপথ। এ ছাড়া হাওড়া থেকে লোকাল ট্রেন ধরে বাগনান স্টেশনে নেমে গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়া যায় অল্প সময়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × two =