বাঁকুড়া : গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গত তুলে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। রবিবার তিনি বলেন, কোনও তৃণমূল নেতা ও তাঁদের আত্মীয়রা যেন দেশ ছাড়তে না পারে। প্রত্যেক লোকের পিছনে ইনটেলিজেন্সের লোককে লাগানো উচিৎ এবং তাঁদের আশপাশের লোককে জেরা করা উচিৎ। তৃণমূল নেতাদের টাকা রাখার জায়গা নেই।
রবিবার সকালে বিষ্ণুপুর শহরের বেসরকারি একটি হোটেল থেকে প্রাতঃভ্রমণে বের হয়ে পোড়ামাটির হাটে যান দিলীপ ঘোষ। সেখানে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে চায়ে পে চর্চা কর্মসূচির ফাঁকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একের পর এক তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, দিদি বলছে টাকা নেই, টাকা নেই। বারবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাচ্ছেন। এদিকে টাকা তো সব খাটের তলায় পুঁটলি বেঁধে রাখা আছে। কেউ কোনওদিন ভেবেছিল লোকের খাটের তলায় বাড়িতে বাড়িতে এত টাকা পাওয়া যাবে! আর ববি হাকিম বলছেন এই টাকা ধরে নেওয়াতে নাকি বাংলার অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। কে ভেবেছিল বাংলার অর্থনীতি কালো টাকা দিয়ে চলবে? এটাকে সরকার সাপোর্ট করছে। তৃণমূলের নেতাদের কষ্ট হচ্ছে। এখানে পুলিশ আছে, সিআইডি আছে। তারা কী করে, কেউ জানে না। কেউ কোনওদিন এই টাকার কথা বলেনি।
এখানেই শেষ নয়, সিবিআই ও ইডির স্ক্যানারে থাকা পুলিশ আধিকারিক শ্যাম সিংকে বর্ধমানের ডিআইজি করা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, কিছু করার নেই, কারণ সবকটা আধিকারিক দাগী। তৃণমূল তাঁদের কর্মীদের ঝান্ডা ধরা ও লুঠ করা শেখানোর পাশাপাশি সরকারি আধিকারিকদেরও তা করতে বাধ্য করেছে।