পাণ্ডবেশ্বর: পাণ্ডবেশ্বর থানার শ্যামলা এলাকায় রবিরাত রাতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায়। রণক্ষেত্রের চাহারা নেয় এলাকা। বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দলীয় কার্যালয়ে। বোমার আঘাতে আহত দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন। এলাকায় বসানো হয় পুলিশ পিকেট। ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে, পাণ্ডবেশ্বর থানার জামুরিয়া ২ নম্বর ব্লকের শ্যামলা এলাকার ফারফরি গ্রামে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একটি দলীয় কার্যালয়কে কেন্দ্র করে তৃণমূল মাদার সংগঠনের লোকেদের সঙ্গে প্রকাশ্যে আসে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা। উভয় পক্ষই একে অপরের ওপর বোমাবাজির অভিযোগ তোলে। এছাড়াও একটি মিষ্টির দোকানে ভাঙচুর সহ লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়। আহতদের বাহাদুরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ছাত্র পরিষদের এক সদস্য গুরুতর আহত থাকায় তাঁকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় চিকিৎসার জন্য। ঘটনাস্থলে পাণ্ডবেশ্বর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে। সোমবার সকাল থেকে পুলিশ পিকেট বসানো হয়। ™াণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ এই ঘটনায় ২৭ জনের নামে এফআইআর দায়ের করে এবং ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃত ৭ জনের মধ্যে রয়েছে শ্যামলা গ্রামের তৃণমূল প্রধান কাজলী মণ্ডলের স্বামী গ্রেস মণ্ডল। ধৃত ব্যক্তিদের সোমবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ আদালতের কাছে ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশ হেপাজতের আবেদন জানায়। এই ঘটনায় গ্রামবাসীদের একাংশ অভিযোগ তুলে বলেন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছেলেরা একটি পুরনো স্বাস্থ্য কেন্দ্র দখল করে সেখানে দলীয় কার্যালয় বানিয়েছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দলীয় কার্যালয় তৈরি নিয়ে আমাদের আপত্তি। এদিন আমরা গ্রামবাসীরা গিয়ে তাদের সেই কথা বলে চলে আসি। এরপর ওরা নিজেরাই সব ভাঙচুর করে সন্ধ্যাবেলায় বোমাবাজি শুরু করে।
অন্যদিকে স্থানীয় ছাত্র পরিষদ নেতা তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির নির্দেশেই আমাদের পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। যেখানে জামুরিয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং এই পার্টি অফিস উদ্বোধন করেছেন সেখানে তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বিধায়কের কথাও শুনছেন না।
ছাত্র পরিষদের সদস্যরা পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, এদিন আমাদের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় একদল দুÜৃñতী। এর প্রতিবাদে আমরা সমাবেশ করলে আমাদের লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করা হয়। যদিও তৃণমূলের দলাদলির কথা মানতে রাজি নয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্ব সহ পুলিশ প্রশাসন।