হুগলি: অবশেষে জল্পনার অবসান। আগামী ২৭ জুলাই হিন্দমোটরের ওয়াগন ফ্যাক্টরির (Wagon factory) মধ্যে রেলওয়ে কোচ ফ্যাক্টরির উদ্বোধন হতে চলেছে। তা নিয়ে স্থানীয় মানুষ ও বেকার যুবকদের মধ্যেও উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। কর্মসংস্থানের লক্ষ্যেই এই কারখানা চালু হতে চলেছে। পরিকল্পনা ঠিকঠাক চললে উদ্বোধন করবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সরেজমিন তারই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে গেছেন চন্দননগরের সিপি এবং জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা। ওই কোচ ফ্যাক্টরির উদ্বোধন হলে ভারতীয় ব্রডগেজ রেলের কোচ ও মেট্রো রেল কোচ তৈরি হবে হিন্দমোটরেই। সূত্রের খবর, ওই দিনই ভার্চুয়ালি পলতায় হেলিকপ্টার নির্মাণ কারখানাও উদ্বোধন করবেন তিনি। উত্তরপাড়া পুরসভার পুরপ্রধান দিলীপ যাদব বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যে আসছেন সেটা খুবই গর্বের বিষয়। একই সঙ্গে শিল্পের উন্নতিও বড় পাওনা। ২৭ জুলাইয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে এখন থেকে এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দিকে নজর দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। সুরক্ষায় যাতে এতটুকু ফাঁক না থাকে সে জন্য আগাম প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই তোড়জোড় খতিয়ে দেখতে আসেন চন্দননগরের সিপি-সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। টিটাগর ওয়াগন ফ্যাক্টরি সভাকক্ষেও পুলিশ এবং প্রশাসনের মধ্যে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, কোন পথে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় আসবে, কী ভাবে সুরক্ষা বলয় তৈরি হবে সেই নিয়েই আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা এই মুহূর্তে পুলিশ প্রশাসনের অন্যতম চিন্তার কারণ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত ২ জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর ভবানীপুরের বাড়ির পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকে পড়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন হাসনাবাদের হাফিজুল মোল্লা। অভিযোগ, সকলের অগোচরে রাতভর বাড়ির ভিতরে ঘাপটি মেরেও বসেছিলেন। জেড প্লাস নিরাপত্তার ঘেরাটোপ এড়িয়ে কী ভাবে এমন করলেন তিনি, তা নিয়ে চাঞ্চল্য পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। সেই ঘটনার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে আরও আঁটোসাঁটো ব্যবস্থা নিতে চায় প্রশাসন। তাই হিন্দমোটর এলাকায় আঁটোসাটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ প্রশাসন। সবমিলিয়ে কর্মসংস্থান ও হুগলির আর্থ সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এই কারখানা চালু হলে বহু মানুষ উপকৃত হবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদেরা।