কলকাতা : ‘২০২৯-এ প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’, ভবিষ্যদ্বাণী তৃণমূল নেতা তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। সামাজিক মাধ্যমে তাঁর ছবি-সহ এই শিরোনামের পোস্ট হওয়ার পর সমাজমাধ্যম ভাসছে প্রতিক্রিয়ার বন্যায়।
পৃথক পোস্ট করেছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রফেসর ঝন্টু বারিক। প্রতিক্রিয়ায় অভিশপ্ত মল্লিক লিখেছেন, “জেলে জ্যোতিষ শাস্ত্র পড়েছে!” অরিন্দম সরকার লিখেছেন, “জ্যোতিষ সম্রাট কুণালশুওর শাস্ত্রী শুভজিৎ ভট্টাটার্য লিখেছেন, “শতাব্দীর সেরা জোকস।”
বৈদ্যনাথ ওঁরাও লিখেছেন, “এতো পুরো দেশকে বেচে দেবে”। সুনীল কুমার বাস্কে লিখেছেন, “পাগলের চটি-চাটা চামচা ….”। রাজ চক্রবর্তী লিখেছেন, “কুণাল ভুল কথা বলছে ২০২৯ নয় ওটা হবে ২০৯২ যখন পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে।” প্রীতম মুখার্জি লিখেছেন, “বলতে tax লাগে না”।
শিবাণী মণ্ডল লিখেছেন, “কুণাল জেলে বসে বসে জ্যোতিষ শাস্ত্র পড়ে এসেছে। তাই মমতা দিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছে। রাজ্যটা তো পুরো বেচে দিয়েছে ভিখারী বানিয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হলে পুরো দেশটাকেই বিক্রি করে দেবে তখন ভারতবাসী গর্ব করে বলতে পারবে না যে আমি ভারতবাসী। এই চোর কুণালটার ব্রেনটা পুরো আস্ত একটা শয়তানের বাসা।
অভিজিৎ রায় লিখেছেন, “চটি পিসি একই সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, জার্মানির চ্যান্সেলর, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী, ফ্রান্স এর রাষ্ট্র প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।” দিব্যেন্দু চক্রবর্তী লিখেছেন, “শুধু আমরা জ্বলব কেন? সারা ভারত জ্বালা ভোগ করুক!”
বাবলু কুমার ঘোষ লিখেছেন, “পাগলে কি না বলে আর ছাগলে কি না খায়! দুদিন পর দলটাই উঠে যাবে আর পিএম! চটি চাটা কাকে বলে!” বাপ্পাদিত্য ব্যানার্জী লিখেছেন, “একদম হবে। মোদী একেই আসন টা ছাড়বে।
দেবাশিস সরকার লিখেছেন, “চোর কুণালের চৈতন্য হোক”। আশিস দেবনাথ লিখেছেন, “তখন আপনাকে কিন্তু অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বটা নিতেই হবে। মুখের উপর no করলে আমি কিন্তু hear করবো না। কী বুঝলে!”
একটি সংবাদমাধ্যমে এই পোস্ট হওয়ার ১৬ ঘন্টা বাদে, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় প্রতিক্রিয়া হয়েছে ৩ হাজার ৪০০। প্রতিটিতেই ফুটে উঠেছে নেটনাগরিকদের বিদ্রুপ।

