কানপুরে ভরাডুবি ! ব্যর্থ তিলকের লড়াই , অজি ঝড়ে উড়লো ভারতীয় এ দল

এশিয়া কাপে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা দুই তরুণ তারকা অভিষেক শর্মা ও তিলক বর্মার পারফরম্যান্স নিয়ে ক্রিকেটমহলে যথেষ্ট আগ্রহ ছিল। কিন্তু কানপুরে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’-র বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বেসরকারি ওয়ানডে ম্যাচে ছবিটা অনেকটাই আলাদা রূপ নিল। এশিয়া কাপে ৩১৪ রান করে টুর্নামেন্ট সেরা হওয়া অভিষেক ও ফাইনালে পাকিস্তান-বধে নায়ক তিলক—দু’জনকেই ঘিরে প্রত্যাশা ছিল প্রবল। তবে এদিন অভিষেক ব্যাট হাতে একেবারেই ব্যর্থ হলেন, আর তিলকের লড়াইও শেষমেশ ভারতের জয় এনে দিতে পারল না। ম্যাচের শুরুতেই জ্যাক এডওয়ার্ডসের প্রথম বলেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন অভিষেক। তাঁর রানের খাতা খোলার সুযোগই মেলেনি। হতাশ করেছেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারও, মাত্র ৮ রান করে আউট হন তিনি। ১৭ রানের মধ্যেই ভারতের ৩ উইকেট পড়ে যায়। সেই অবস্থায় ভরসা হয়ে দাঁড়ান তিলক বর্মা ও রিয়ান পরাগ। এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের ত্রাণকর্তা হয়ে ওঠা তিলক আবারও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে থাকেন। তিনি ১২২ বলে ৯৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো তাঁর ইনিংস দলকে লড়াইয়ে রাখে। পাশে দাঁড়িয়ে রিয়ান ৫৪ বলে ৫৮ রান করেন, যেখানে ছিল ৬টি চার ও একটি ছয়। তবে মিডল অর্ডারের এই লড়াইয়ের পরও ভারত বড় রান তুলতে পারেনি। শেষদিকে হর্ষিত রানা (২১) ও রবি বিষ্ণোই (২৬)-র ছোট ছোট ইনিংসে ৪৫.৫ ওভারে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় মাত্র ২৪৬ রান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এডওয়ার্ডস একাই ৪ উইকেট নেন। এরপর বৃষ্টির কারণে ম্যাচে ডিএলএস পদ্ধতি প্রযোজ্য হয়। অস্ট্রেলিয়ার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৫ ওভারে ১৬০ রান। শুরু থেকেই ভারতীয় বোলারদের চাপে ফেলতে পারেননি হার্ভে ও কনোলি। ম্যাকেঞ্জি হার্ভে ৪৯ বলে ৭০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন, অন্যদিকে কুপার কনোলিও করেন অর্ধশতরান। একমাত্র জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগুর্ক আউট হন নিশান্ত সিন্ধুর বলে। কিন্তু বাকি সময় অজি ব্যাটাররা সহজেই রান তুলে নেন। অর্শদীপ সিং কিংবা হর্ষিত রানার হাতে সাফল্য আসেনি। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হাতে রেখে অস্ট্রেলিয়া লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে এবং তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা ফেরায়। এই হারে ভারতীয় শিবিরে হতাশা হলেও তিলক বর্মার লড়াই প্রশংসা কুড়িয়েছে। তবে অভিষেক শর্মার ব্যর্থতা চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। এশিয়া কাপে দুর্দান্ত খেলার পর হঠাৎ খাতা না খুলে ফিরতে হওয়া তাঁর আত্মবিশ্বাসে আঘাত হানতে পারে। সিরিজের শেষ ম্যাচে তাই ভারতীয় তরুণদের কাছে বড় প্রত্যাবর্তনের প্রত্যাশা থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 + 14 =