বাংলাদেশের মতো এখানেও নানাবিধ নিয়ম কানুন আরোপ করা হয়েছে, কটাক্ষ শুভেন্দুর

কলকাতা : “ধর্ম যার যার উৎসব সবার, কিন্তু সংখ্যায় কম হলে হিন্দুদেরই করতে হবে আপোষ-সমঝোতা, নয়তো ভাগ্যে রয়েছে অত্যাচার…”। মঙ্গলবার এক্সবার্তায় এই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি লিখেছেন, “ফরাক্কার মহেশপুর পঞ্চায়েত এলাকার পূর্ব শিবতলায় দুর্গা পুজোর মণ্ডপে আজানের সময় সূচি প্রদর্শন করা হয়েছে। এই দৃশ্য ব্রিটিশ আমলেও দেখা যায় নি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে এই দৃশ্য দেখতেও আমরা বাধ্য হলাম।

মূল বিষয়টির সাথে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কোনো সম্পর্ক নেই, ব্যপার হলো হিন্দুরা এখানে সংখ্যালঘু আর বাংলাদেশের মতো এখানেও নানাবিধ নিয়ম কানুন আরোপ করা হয়েছে যে সুষ্ঠু ভাবে পুজো সম্পন্ন করতে হলে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে, নয়তো পুজো মণ্ডপে আক্রমন ও প্রতিমা ভাংচুরের নিদর্শন পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে ভুরি ভুরি রয়েছে। এর জন্যে দায়ী হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ তোষণবাজ সরকার, যারা এই অন্যায় কে বছরের পর বছর ধরে প্রশ্রয় দিয়ে মৌলবাদীদের হৃষ্ট পুষ্ট বলিষ্ঠ করে তুলেছে।

এই সরকারের মূল উদ্দেশ্য হলো ক্ষমতায় টিকে থাকা ও হিন্দুদের উপর নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি করে নিজের আখের গোছানো, কারণ সনাতনীদের আস্থা এই সরকারের ওপর থেকে উঠে গেছে। তাই হিন্দুদের বেকায়দায় ফেলে ভোট ব্যাংক কে মজিয়ে রাখা যাতে মূল বিষয় গুলি যেমন শিক্ষা স্বাস্থ্য কর্মসংস্থান নিয়ে কেউ ভাবার সময় না পায়।

২০২৬ সালে এই হিন্দু বিরোধী মমতা সরকার কে না ক্ষমতাচ্যুত করতে পারলে হিন্দুদের এই সব নিয়ম কানুনে অভ্যস্ত হয়ে যেতে হবে এবং আজ ফরাক্কায় যে দৃশ্য দেখতে আমরা বাধ্য হলাম কাল সারা পশ্চিমবঙ্গের দিকে দিকে দেখতে হবে। হয়তো এমন দিন আসবে যখন মূর্তি পুজোয় আপত্তি জানানো হবে ! ভুলে গেলে চলবে না এই দেশেই একসময় হিন্দুদের ‘জিজিয়া কর’ দিতে হতো…”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − three =