পানাজি: দুটো এমন দলের খেলা যারা পরের পর্বে যেতে পারছে না। যাদের সামনে কোনও লক্ষ্য নেই। আইএসএলের লাস্ট বয় হওয়ার পাকা করেই মাঠে নেমেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে বেঙ্গালুরু মোহনবাগানের কাছে হারের পরই লিগের দৌড় থেকে ছিটকে যায়। তাই ম্যাচটা থেকে তেমন কিছুই পাওয়ার ছিল না। সোজা কথায় নিয়মরক্ষার ম্যাচ। খেলার প্রতি মিনিটেই সেই ছবি ধরা পরল। দুই দলের তুলনা করলে দেখা যাবে ইস্টবেঙ্গলের থেকে অনেক ভালো ও সম্মান জনক জায়গায় লিগ শেষ করছে সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসি। তাই তাগিদটা বেশি থাকা উচিত ছিল লাল-হলুদ ফুটবলারদের। কিন্তু শেষ ম্যাচটা জিতে মাঠ ছাড়ার মত দাপট দেখাতে পারলেন না রিভেরার ছেলেরা। শেষ ম্যাচেও হার ইস্টবেঙ্গলের।
একঝাঁক তরুণ ফুটবলরকে প্রথম দলে নামিয়ে প্রথমার্ধটা শুরু করেছিলেন লাল-হলুদ কোচ মারিও রিভেরা। তুলনায় অনেক অভিজ্ঞ বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে পের উঠছিলেন না ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারার। সুযোগটা কাজে লাগালেন ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। চলতি মরসুমে এর আগে মাত্র তিনটি গোল করেছিলেন সুনীল। আজ করলেন চার নম্বর গোলটা। অনন্ত তামাং সামলাতে পারলেন না ছেত্রীকে। ১-০ গোলে এগিয়ে আরও কিছুটা দাপট বাড়ায় বেঙ্গালুরু। উদান্তা সিংয়ের শট তিন কাঠিতে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে। উল্টো দিকে লাল-হলুদের একমাত্র ভরসা সেই পেরোসেভিচ। তাঁকে লক্ষ্য করেই বলের জোগান দেওয়ার চেষ্টা করে গেলেন বাকিরা। কিন্তু প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই সেই আশাও শেষ। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন পেরোসেভিচ। আরও বেশি আক্রমণের সুযোগ যেন পেয়ে গেল বেঙ্গালুরু। দারুণ ফুটবল খেললেন বেঙ্গালুরুর দানিশ ফারুখ।
দ্বিতীয়ার্ধেও ছবিতে খুব একটা বদল হয়নি। মাঠে নামার পর থেকেই গোলের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য লড়াই চালিয়ে গেল বেঙ্গালুরু এফসি। আর বাঁচার চেষ্টা করে গেল ইস্টবেঙ্গল। ৯০ মিনিট শেষে খেলার ফল ১-০। একটা মাত্র ম্যাচ জিতে, লাস্ট বয়ের তকমা নিয়ে লিগ শেষ করল লাল-হলুদ ব্রিগেড। ৮টি ড্র, ১১টি হার। পয়েন্ট মাত্র ১১।