জলপাইগুড়ি : অবশেষে আতঙ্কের দিন শেষ, রবিবার রাতে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের ভান্ডিগুড়ি চা বাগানে ধরা পড়ল চিতাবাঘ। গত দেড় মাস ধরে ওই এলাকায় প্রাণীটি ঘোরাফেরা করছিল। সেটিকে ধরতে খাঁচা পাতা হয়। খাঁচায় টোপ হিসেবে রাখা হয়েছিল ছাগল। আর খাবারের লোভেই ফাঁদে পা দিল চিতাবাঘ। খবর ছড়িয়ে পড়তেই সোমবার সকাল থেকে খাঁচাবন্দি চিতাবাঘ দেখতে ভিড় জমান বাগানের শ্রমিকরা। হিংস্র প্রাণীটি পাকড়াও হতেই স্বস্তি ফিরেছে চা বাগানে।
গত ১৯ এপ্রিলের ঘটনা, ভান্ডিগুড়ি চা বাগানের ৬০ নম্বর সেকশনে কীটনাশক স্প্রে করছিলেন ঝুটুং ওরাওঁ নামে এক শ্রমিক। এমন সময় ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে থাকা একটি চিতাবাঘ ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর উপর। আচমকা চিতাবাঘের হামলায় খানিকটা ঘাবড়ে যান ওই শ্রমিক। কিন্তু হাল ছাড়েননি তিনি।
কয়েক মিনিট ধরে রীতিমতো চিতাবাঘের সঙ্গে লড়াই চলে ওই শ্রমিকের। পাশেই বাগানের অন্য সেকশনে তখন পাতা তোলার কাজ চলছিল। বিষয়টি টের পেতেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন বাকি শ্রমিকরা। এরপরই চিতাবাঘটি ঝুটুংকে ছেড়ে দিয়ে বাগানের ঝোঁপের মধ্যে লুকিয়ে পড়ে। চিতাবাঘের হামলায় মারাত্মকভাবে জখম হন ওই চা শ্রমিক। তাঁর গলায় থাবা বসিয়ে মাংস খুবলে নেয় চিতাবাঘ।
এরপর থেকেই ওই এলাকায় চিতাবাঘের আতঙ্ক গ্রাস করে। বেশ কয়েকদিন চা বাগানে ঠিকমতো কাজ হয়নি। রাত জেগে পাহারা দিতে শুরু করেছিলেন চা বাগানের শ্রমিকরা। অবশেষে ধরা পড়ল সেই চিতাবাঘ।

