বাঁকুড়া : দলীয় কর্মসূচি সেরে বাড়ি ফেরার পথে আইএসএফ নেতাদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে বাঁকুড়ার তালডাংরা থানার রাজপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আক্রান্তরা হলেন আইএসএফের জেলা কমিটির সদস্য জুলকার খান ও নুর মহম্মদ মণ্ডল। তাঁদের সঙ্গে থাকা আরও দু’জন কর্মীকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
আক্রান্তদের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা প্রথমে রাস্তায় তাদের ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করে। পরে রাজপুরে তৃণমূলের স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে গিয়েও ফের মারধর চালানো হয়।
জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর থানার বাঁকাদহ এলাকায় ছাত্র সংগঠনের একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তালডাংরার আমডাংরা এলাকার আইএসএফ নেতারা। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর বাড়ি ফেরার পথে রাজপুরে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে হামলার মুখে পড়েন তাঁরা।
ঘটনার পর আমডাংরা ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে তৃণমূল কার্যালয় থেকে আহতদের উদ্ধার করে তালডাংরা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করায়। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। তালডাংরা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আইএসএফ নেতারা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না হলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় নেতা নিতাই চক্রবর্তী বলেন, “এলাকায় আইএসএফ বলে কিছু নেই। রাজপুরে সাবমার্সিবল যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনায় বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা ছিল। কিছু অচেনা যুবককে একটি চাতালে বসে থাকতে দেখে গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়। তার জেরেই মারধরের ঘটনা ঘটে। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তাঁদের বাঁচাতে প্রথমে তৃণমূল কার্যালয়ে নিয়ে যান এবং পরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।”

