রাজকোটে ভারতকে হারিয়ে সিরিজে টিকে থাকল ইংল্যান্ড

রাজকোটের উইকেট রান সহায়ক। মনে হয়েছিল অনায়াসেই লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে ভারত। কিন্তু প্রশংসা করতেই হবে ইংল্যান্ডের বোলারদের। পাশাপাশি শট সিলেকশনের জন্যও ডুবতে হয় টিম ইন্ডিয়াকে। ছন্দে থাকা অভিষেক শর্মা, তিলক বর্মা রান না পাওয়ায় সমস্যায় পড়ে দল। ব্যর্থ সঞ্জু স্যামসন। শুরুটা ভাল করেও ২৪ রানে আউট হন অভিষেক। পাওয়ার প্লের মধ্যেই ৩ উইকেট হারায় ভারত। এতেই রানের গতি মন্থর হয়ে যায়। ছয় ওভারের শেষে দুই দলের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য ছিল না। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতেই ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায় ভারত। সিরিজ শুরুর আগেই সূর্য জানিয়েছিলেন, ওপেনিং ছাড়া কারোর ব্যাটিং পজিশন নির্দিষ্ট নয়। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুয়ায়ী ঠিক করা হবে। তবে এদিন বাঁ হাতি, ডান হাতি কম্বিনেশন বজায় রাখতে দলে ধ্রুব জুরেলের মতো স্পেশালিস্ট ব্যাটার থাকা সত্ত্বেও অক্ষর প্যাটেলকে নামানো হয়। একাই লড়াই করেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। শুরুতে একটু সময় নিলেও শেষদিকে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। ৩৫ বলে ৪০ রান করে আউট হন। হার্দিক ফিরতেই ভারতের আশা শেষ।

প্রথম সেশনে ভারতীয় স্পিনে ধরাশায়ী হয় ইংল্যান্ড। বরুণ চক্রবর্তীর ঘূর্ণিতে আত্মসমর্পণ বাটলারদের। পাঁচ উইকেট তুলে নেন কেকেআরের স্পিনার। নির্ধারিত ওভারের শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তোলে ইংল্যান্ড। তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হয় মহম্মদ সামির। ১৪ মাস পর বাইশ গজে ফেরেন। এদিন বোলিং ওপেন করেন সামি। তিন ওভার বল করেন। কিন্তু উইকেটের খাতা খোলা হয়নি। ব্যাট হাতে একটি ছক্কা হাঁকান। অর্শদীপ সিংয়ের পরিবর্তে দলে ফেরেন বাংলার পেসার। এদিন চার স্পিনার নিয়ে খেলে টিম ইন্ডিয়া। ন’য়ের মধ্যে সাত উইকেট স্পিনারদের।‌

টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠান সূর্যকুমার যাদব। তিন ম্যাচের মধ্যে সবচেয়ে ভাল পিচ রাজকোটের। ব্যাটিং সহায়ক উইকেট। বড় রান হওয়ার কথা। ফিল সল্টের উইকেট হারালেও যথেষ্ট ভাল শুরু করে জস বাটলার, বেন ডাকেট জুটি। বিশেষ করে ইংল্যান্ডের ওপেনারের কথা উল্লেখ করতে হবে। প্রথম থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন। পাওয়ার প্লের শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের রান ছিল ৫২। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৬ রান যোগ করেন বাটলার, ডাকেট। স্পিনারদের আক্রমণ করেন দ্বিতীয়জন। ২৬ বলে ৫০ রানে পৌঁছে যান। দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে বাটলারকে ফেরান সঞ্জু স্যামসন। ২২ বলে ২৪ রান করেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। ব্যাক টু ব্যাক ওভারে ছন্দে থাকা দু’জন আউট হতেই ইংল্যান্ডের রানের গতি কমে। বাকি ব্যাটাররা ব্যর্থ। দলকে একা টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন লিয়াম লিভিংস্টোন। পাঁচটি ছক্কা হাঁকান। বড় শট খেলতে গিয়ে ২৪ বলে ৪৩ করে আউট হন লিভিংস্টোন। ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তোলে ইংল্যান্ড। ইডেনের পর আবার সফল। পাঁচ উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তী। জোড়া উইকেট হার্দিকের। কিন্তু কেকেআরের স্পিনারের অবদান কাজে লাগেনি। তিন ম্যাচের শেষে সিরিজ ২-১।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − seventeen =