কলকাতা : “আমরাও দাবি করব আমাদের নবাব সিরাজুদ্দৌলার বাংলা-বিহার-ওড়িশা ফেরত দাও। এই সব ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে কিছু ।” বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভির এই মন্তব্যে প্রতিবাদ উঠেছে এপার বাংলায়। এর মধ্যেই সীমান্ত ডিঙিয়ে আগরতলা অভিযানের ডাক দিয়েছে বিএনপি। পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, হুমায়ুন কবীরের পাশাপাশি আগেই মুখ খুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার সরব হলেন বিজেপি বিধায়ক তথা দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল।
অগ্নিমিত্রা মনে করিয়ে দেন, ‘বাংলাদেশের যারা এমন কথা বলছেন তারা মূর্খ ছাড়া কিছুই নয়। সংখ্যালঘুদের উপর এভাবে অত্যাচার একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের পাঁচ মিনিট লাগবে না বাংলাদেশকে স্তব্ধ করতে। মুখে বললেই কাজে করে দেখাতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশ আমাদের বন্ধু দেশ। ওখানকার সব পরিষেবা ভারত দেয়। সেই বাংলাদেশ ভারতকে অপমান করছে।’
একাধিক বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও ওপার বাংলার পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের প্রশাসনের লাগাতার হুমকি উপেক্ষা করেও সংখ্যালঘুদের বাঁচাতে একজোট রাজ্যের শাসক-বিরোধী দুই শিবির। পরিষ্কার বুঝিয়ে দিলেন কলকাতা দখলের পথ এতটা সহজ নয়। দিল্লি এখনও অনেক দূর।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ভারত বিরোধিতার আবহে সোমবার সীমান্ত ডিঙিয়ে আগরতলা অভিযানের ডাক দিয়েছে বিএনপি। সোমবার খালেদা জিয়ার দলের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য অভিমুখে লং মার্চ হবে। রবিবারই ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে অভিযান করেছিল দলটি। এবার ত্রিপুরা ‘দখলে’র মতো হাস্যকর দাবি জানিয়েছে তারা।