বিধাননগর : শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আর জি কর মেডিকেল কলেজের সাম্প্রতিক ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে তিনি বলেন, এই কারণেই এবারের শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান বিকাশ ভবনে আয়োজন করা হয়েছে। সাধারণত প্রতি বছর শিক্ষক দিবসে কৃতি ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কৃত করা হয়, তবে এবছর সেই অনুষ্ঠান কিছুদিন পরে আয়োজন করা হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করেছেন।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আরও ঘোষণা করেন, রাজ্যের শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীদের জন্য একটি নতুন হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। এই হেল্পলাইনের মাধ্যমে তারা তাদের অভিযোগ বা সমস্যা নিয়ে অভিযোগ নিষ্পত্তি সেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি হল ৯০৮৮৮৮৫৫৪৪। ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে যারা এই অভিযোগগুলির বিষয়ে নজরদারি করবে।
পেনশনের বিষয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী জানান, এর আগে যেসব শিক্ষক টানা ছয় বছর কাজ করার পর পেনশন পেতেন না, তাদের আদালতে যেতে হতো। এবার থেকে যারা টানা দশ বছর ধরে কাজ করছেন, তাদের উচ্চ আদালয়ে যেতে হবে না। সংশ্লিষ্ট দপ্তরই তাদের অবসর ভাতা প্রদান করবে।
মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্রগুলি ডিজি লোকারে সংরক্ষণের নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী। এছাড়াও র্যাগিং নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সিসি টিভি স্থাপনের জন্য আবেদন জানান তিনি। তিনি বলেন, “আর জি কর কান্ডের পর আমরা স্কুলগুলিকে আন্দোলনে বাধা দিইনি, বরং বলেছি আন্দোলন করুন কিন্তু স্কুলের সময়সূচি মেনে।”
শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, গতবারের তুলনায় এই বছর কলেজে ভর্তি সংখ্যা বেড়েছে। তবে কিছু সিট এখনও খালি রয়েছে যার মূল কারণ টেকনিকাল কোর্সে ভর্তির প্রবণতা বৃদ্ধি।
ব্রাত্য বসু আন্দোলনরত শিক্ষকদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বলেন, “আন্দোলনে আমার স্বর তাদের সাথে আছে। কিন্তু কেউ কেউ স্বরটা সরকারের দিকে তুলছেন। এখানে সবাই বললে চলবে না, কেউ বলবে, কেউ শুনবে। আমি শুনছি।”
কেন্দ্রের পুরস্কার ফেরত দেওয়ার প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “যারা রাজ্য সরকারের পুরস্কার ফেরত দিচ্ছেন, আশা করি কেন্দ্র সরকার যদি এমন কিছু করে, তখন তারা কেন্দ্রের পুরস্কারও ফেরত দেবেন।”