কলকাতা : “এবার পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা ভেবে দেখুন, কী করবেন?” বাংলাদেশে বাঙালি হিন্দু হত্যা প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়।
বৃহস্পতিবার তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশে বাঙালি হিন্দু হত্যা করা একটা আগেকার দিনের বড়লোকদের পাখি শিকার করার মত ব্যাপার। আজকাল একটা অজুহাত দরকার হয়, আগে তাও হত না। সবচেয়ে সুবিধার অজুহাত হচ্ছে, “এ ফেসবুকে আমাদের ‘মহানবীকে’ অপমান করেছে”।
এটা মনে করবেন না যে হাসিনার আমলে এটা হত না। ২০১৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে রস দাস নামক এক নিরক্ষর মৎস্যজীবী যুবকের নাম ওই একই অপবাদ দিয়ে ৩০০ হিন্দুর বাড়ি পুড়ানো হয়েছিল। ২০২১ সালে কুমিল্লায় দুর্গাপ্রতিমার নীচে একখানা কোরান গুঁজে দিয়ে জনাদশেক হিন্দুকে হত্যা করা হয়েছিল।
এগুলো হাসিনার হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে ফ্লার্ট করার ফল, কিন্তু সেটাও আসল কারণ নয়। আসল কারণ জিহাদ, যা ইসলামের মধ্যে ওতপ্রোত আছে। মুসলমান অমুসলমানকে মারবেই, এটা ওদের ধর্মীয় কর্তব্য।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাজ্য যুগ্ম ভারপ্রাপ্ত সায়ন চক্রবর্তী এক্স হ্যান্ডলে এ দিন লিখেছেন, “১৮ বছর বয়সী খুলনার কলেজ ছাত্র উৎসব মণ্ডলকে গতকাল পিটিয়ে হত্যা করেছে এক পাল জিহাদির বাচ্চা। হত্যা করেছে সেনাবাহিনীর সামনে। হ্যাঁ সেনাবাহিনীর কেউই উৎসবকে বাঁচানোর চেষ্টা করেনি,বর্বর জিহাদি খুনীদের হাতে নিরীহ একটি তরুণকে মরতে দিয়েছে। উৎসবের দোষ কী? সে নাকি মহানবীকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করেছিল কবে। তাই মহানবীর আদর্শে বেড়ে ওঠা মহানবীর বীর সৈনিকেরা উৎসবকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। সেনাবাহিনীও ধর্মান্ধ, সেনাবাহিনীও জিহাদি এবং জঙ্গি সমর্থক। সেনাবাহিনীও উৎসব হত্যার উৎসবে সামিল হয়েছে।” এটি সায়নবাবু তথাগতবাবুর এক্স হ্যান্ডলে যুক্ত করায় ওপরের মন্তব্য করেছেন রাজ্য বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি।