কলকাতা : নীতি আয়োগের বৈঠকে তাঁকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি, এই অভিযোগ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, মমতার এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অধীরের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যে কথা বলছেন।
শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ২ ঘণ্টা পরই বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি। ৫ মিনিটে আমার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে’।
এ প্রসঙ্গে অধীর বলেছেন, “নীতি আয়োগ বৈঠক নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কথাগুলো বলছেন, আমার মনে হচ্ছে তিনি মিথ্যা বলছেন। একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে যদি কথা বলতে না দেওয়া হয়, তা খুবই আশ্চর্যজনক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতেন সেখানে কী ঘটবে…তার কাছে স্ক্রিপ্ট ছিল।”
অধীর আরও বলেছেন, “নির্বাচন হোক অথবা না হোক বাংলায় আমরা যে ধরনের নৈরাজ্যের মুখোমুখি হচ্ছি… পৌর নির্বাচনে, আমরা ভোট দেওয়ার সুযোগ পাইনি… জোর করে তারা নির্বাচনে জিতেছে… লোকসভা নির্বাচনের সময়, ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন ছিল তাই কিছু জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে।
তবে আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি না যে সব জায়গায় ভোট শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে… বিরোধী কর্মীদের প্রতিনিধিদের জোর করে মারধর করে বা ঘুষ দিয়ে তাদের দলে যোগদান করানো হয়। কেউ তাদের কথা না শুনলে তাদের মেরে ফেলা হবে। জলপাইগুড়িতে আমাদের কর্মীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্দয়ভাবে হত্যা করা হয়েছিল…মমতা ব্যানার্জি যখন দিল্লিতে আসেন তখন তিনি একজন সাধু হন, কিন্তু বাংলায় তার দল শয়তান।”