কলকাতা: ক্যানসার আক্রান্ত শিক্ষিকা। সহকর্মীকে সহমর্মিতা জানানো দূরের কথা, উল্টে তাঁর সঙ্গে অসহযোগিতা করেছেন প্রধান শিক্ষক, এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন শিক্ষিকা। তাঁর বেতন থেকে অন্যায়ভাবে টাকা কাটা হয়েছে অভিযোগ তুলে ন্যায়বিচারের দাবিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই মামলার শুনানিতেই, বুধবার হাইকোর্ট প্রধান শিক্ষকের কাছে সরাসরি জানতে চাইল বোর্ড ছুটি মঞ্জুর করার পরও কেন ক্যানসার আক্রান্ত শিক্ষিকার বেতন কাটার সুপারিশ করেছিলেন প্রধান শিক্ষক। এদিন হুগলির তেলেনি পাড়ার মহাত্মা গান্ধী বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককে ডেকেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রধান শিক্ষক অজয়কুমার যাদবের যুক্তিতে বিচারপতি সন্তুষ্ট হননি। শেষে প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ডের নির্দেশ দেন তিনি। আদালতের নির্দেশে আগামিকাল থেকে স্কুলে যেতে পারবেন না প্রধান শিক্ষক। একইসঙ্গে শিক্ষিকা সুনীতা শর্মাকে বকেয়া বেতন দেওয়ারও নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। হাইকোর্টের নির্দেশে খুশি সুনীতা দেবী।
এই মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রধান শিক্ষককে ডেকে পাঠান। বুধবার তাঁকে আদালতে আসতে বলা হয়। বিচারপতির নির্দেশমতো আদালতে আসেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অজয়কুমার যাদব। আদালতে হাজিরা দিয়ে তিনি দাবি করেন, শিক্ষিকার প্যান কার্ড ছিল না। সরকারিভাবে দরখাস্তও তিনি করেননি। তাই তাঁর বেতন কাটা হয়েছে। এরপর বিচারপতির একের পর এক প্রশ্নে বেকায়দায় পড়ে যান প্রধান শিক্ষক। তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিচারপতি। তাঁকে বরখাস্ত করা হবে কি না তা দেখতে বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুনীতা দেবীর সব বকেয়া টাকা দ্রুত ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেন বিচারপতি। সুনীতা দেবীর আইনজীবী রণজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, তাঁর মক্কেল প্যান কার্ড সহ আবেদন করলেও ওই প্রধান শিক্ষক পাত্তা দেননি। আদালতের নির্দেশে স্বস্তি পেয়েছেন সুনীতা দেবী। তিনি বলেন, প্রাপ্য টাকা হাতে পেয়ে নিজের চিকিৎসা করাতে পারবেন।