আমি দায়িত্ব নিচ্ছি ডায়মন্ড হারবারের মতো উন্নত শহর গড়ব, দাবি অভিষেকের

নিজস্ব প্রতিবেদন, আসানসোল: উপনির্বাচনের মতো এই নির্বাচনেও শত্রুঘ্ন সিনহাকে জয়ী করতে হবে এবং আসানসোলি জনগণ সেই ব্যাপারে সংকল্প নিয়ে নিয়েছে। আমি দায়িত্ব নিচ্ছি ভোট পর্ব শেষ হলে ডায়মন্ড হারবারকে যে রকম অত্যাধুনিক করা হয়েছে সেই রকম আসানসোলকেও অত্যাধুনিক শহর করব। শুক্রবার আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে রোড শো করে এই দাবি করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের বিদায়ী সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন ঊষাগ্রাম থেকে জিটি রোড ধরে রোড শো শুরু হয়। আসানসোল বাসস্ট্যান্ডের কাছে এই রোড শো শেষ হয়। রোড শো শেষ করে আধ ঘণ্টার ওপর বত্তৃ«তা দেন। এদিন তিনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিজেপিকে আক্রমণ করেন। বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তিনি একবার দার্জিলিঙে দাঁড়াচ্ছেন সেখানে ভোটে জেতার দশ দিন পর থেকে আর দেখা যায়নি, গত লোকসভা নির্বাচনে দুর্গাপুরে দাঁড়িয়েছিলেন, সেখানেও তাঁকে দেখা যায়নি। তাই এবার তিনি আসানসোল কেন্দ্র বেছেছেন। কিন্তু জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে যে তৃণমূল কংগ্রেসকে জিতিয়ে ইন্ডিয়া জোটের হাত শক্ত করবে।’
অগ্নিমিত্রা পাল প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তিনি আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক থাকা সত্ত্বেও এখানের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন। ওখানে তিনি হারবেন আর হারার পর তাঁকে আসানসোলে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সাধারণ জনগণই তাঁকে আসানসোলে ঢুকতে দেবে না।’ সন্দেশখালি প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সামান্য ২০-২৫টা ভোটের লোভে সন্দেশখালিতে নোংরা রাজনীতি করছেন এবং এই নোংরা রাজনীতির জন্য বাংলার মহিলাদের সঙ্গে সমগ্র বাংলার মানুষকে অপমান করছেন। মহিলাদের উদ্দেশ্যে কুরচিকর মন্তব্য করছেন।’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, তাঁকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু বিজেপির কোনও হুমকি বা হুঁশিয়ারিতে তিনি ভয় পাওয়ার লোক নন।
উল্লেখ্য, এদিনের রোড শোয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বিশেষ প্রচার গাড়িতে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা, মন্ত্রী মলয় ঘটক, মেয়র তথা বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং এবং রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve + 20 =