দুর্দান্ত শুরু। সবই ঠিক চলছিল। শেষ হল হতাশায়! ম্যাচে জোড়া রেড কার্ড। ওডিশা এফসির কার্লোস দেলগাদো এবং মোহনবাগানের আর্মান্দো সাদিকুকে আইএসএল সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে পাওয়া যাবে না। তবে হাবাসের হতাশা, এগিয়ে থেকেও খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে। মোহনবাগানের ভরসা টিম গেম এবং যুবভারতীর গ্যালারি। ৫ দিন পর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে মুখোমুখি মোহনবাগান ও ওডিশা এফসি। প্রথম লেগে ২-১ ব্যবধানে জয় ওডিশার। ১ গোলের অ্যাডভান্টেজ নিয়েই দ্বিতীয় লেগে নামবেন রয় কৃষ্ণারা।
কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ম্যাচের আড়াই মিনিটেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান। দিমি পেত্রাতোসের কর্নারে বল ফলো করছিলেন ওডিশা এফসি ডিফেন্ডার মোর্তাদা ফল। তাঁর ধারনা ছিল, সাদিকু কিছু করতে পারেন। মনবীর দ্রুতই সহজ হেডারে সবুজ মেরুনকে ১-০ এগিয়ে দেন। যদিও এই সুখ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ম্যাচের ৮ থেকে ১০ মিনিট মোহনবাগান ডিফেন্সে লাগাতার চাপ তৈরি করে ওডিশা এফসি। অবশেষে ১১ মিনিটেই সাফল্য। সমতা ফেরান কার্লোস দেলগাদো। জটলার মধ্যে গোল দেলগাদোর।
ম্যাচের ১৩ মিনিটে রয় কৃষ্ণাকে ফাউল করেন মোহনবাগান গোলকিপার বিশাল কাইথ। রেফারি পেনাল্টিও দেন। সহকারি রেফারি জানান, রয় কৃষ্ণা অফসাইড ছিলেন। ঘটনার সময় ফ্ল্যাগ না তুললেও তিনি নিশ্চিত করেন, কৃষ্ণা অফসাইড ছিলেন। পেনাল্টির সিদ্ধান্তও বাতিল হয়। ৩৯ মিনিটে মোহনবাগান শিবিরে হতাশা উপহার দেন বাগানের প্রাক্তনী রয় কৃষ্ণা। ওডিশা গোলকিপার অমরিন্দর সিং দ্রুত বল রিলিজ করেন। তার লং বল ধরে বিশাল কাইথকে পরাস্থ করে গোল করেন রয় কৃষ্ণা। সুভাশিস নিজের পজিশনে থাকলে হয়তো পসিস্থিতি অন্য হত। এত দ্রুত বল আসে, মোহনবাগান ডিফেন্স গুছিয়ে ওঠার সুযোগই পায়নি।
ম্যাচের ৬৭ মিনিটে বিপদ বাড়ে মোহনবাগানের। আর্মান্দো সাদিকু রেড কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। আহমেদ জাহুহুকে ফাউল করায় কার্ড দেখান রেফারি। মাঠের বাইরেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাদিকু। দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে তাঁকে ছাড়াই নামতে হবে। কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে প্রায় ৩০ মিনিটের মতো ১০ জনে খেলতে হয় মোহনবাগানকে। একঝাঁক সুযোগ তৈরি করলেও সবুজ মেরুন কাজে লাগাতে ব্যর্থ। দ্বিতীয় লেগে সব বদলে যাবে, এই প্রত্যাশায় সবুজ মেরুন শিবির।