রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ হলো। শনিবার রাজভবনে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, শিক্ষাবিদদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল। রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তাঁদের সঙ্গে রাজ্যপাল দেখা করেননি বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রতী বসু। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি।
শনিবার রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে বসার জন্য উপস্থিত ছিলেন চারজন প্রাক্তন উপাচার্য -সহ অন্যান্য শিক্ষাবিদরা। তবে রাজ্যপাল তাঁদের কারোর সঙ্গেই বৈঠক করেননি বলে খবর। কিন্তু কেন তিনি দেখা করলেন না, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘আচার্য এদিন বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদকে আলোচনার জন্য রাজভবনে ডেকেছিলেন। কিন্তু সেখানে আচার্য অতিথিদের সঙ্গে দেখাই করেননি। বদলে তাঁর দপ্তরের কিছু সরকারি আধিকারিক ওই শিক্ষাবিদদের আচার্যের ক্ষমতা নিয়ে লম্বা- চওড়া ভাষণ দিয়েছেন। এর মাধ্যমে রাজ্যপাল ভারতীয় আতিথেয়তার যাবতীয় রীতিনীতি লঙ্ঘন ও অবমাননা করেছেন। বাংলার শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাবিদদের সম্পর্কে তাঁর কী মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গি এই ঘটনায় তা আরও একবার বোঝা গেল। যা শুধু লজ্জার।’
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজ্যপালের বহুদিন ধরেই বিবাদ চলছে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, রাজ্যের পাঠানো তালিকা থেকে দ্রুত ৬ জন উপাচার্যকে নিয়োগ করতে হবে। শনিবার সেই কারণে বিশেষ বৈঠকে বসার কথা ছিল রাজ্যপাল তথা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোসের। কিন্তু ঘটনাচক্রে তা অন্যদিকে মোড় নিয়েছে।