হোমেও হতাশা, বোলারদের লড়াইয়েও হারের হ্যাটট্রিক হার্দিকদের

‘ঘরে ফেরা’ সার্থক হল না হার্দিক পান্ডিয়ার। কোনও দিক থেকেই। গত দুটি মরসুম গুজরাট টাইটান্সে খেলেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে আইপিএল অভিষেকেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। গত বছর রানার্স। এ বারও তাঁকে নেতা করেই দল গড়ছিল গুজরাট টাইটান্স। রিটেইন প্লেয়ারদের তালিকায় জমা দেওয়ার পরই ট্রেডিংয়ে গুজরাট থেকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে যোগ দেন। আইপিএল কেরিয়ার শুরু হয়েছিল এই টিমেই। পুনরায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে আসাকে ‘ঘরে ফেরা’র অনুভূতি বলেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। যদিও কোনও ভাবেই তা সার্থক হচ্ছে না।

একদিকে ‘ঘরে ফেরা’, অন্য দিকেও ঘরে ফেরা। মরসুমের তৃতীয় ম্যাচ খেলল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। প্রথম দুটি ছিল অ্যাওয়ে ম্যাচ। গুজরাট টাইটান্সের কাছে হার দিয়ে অভিযান শুরু হয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। পরের ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হার। ওয়াংখেড়েতে ম্যাচ হওয়ায় বাড়তি প্রত্যাশা ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। এ মরসুমে প্রথম বার ঘরের মাঠে টিমের খেলা দেখার সুযোগ। সমর্থকরা ফিরলে হারের হতাশা নিয়েই। ঘরে ফিরলেও জয়ে ফেরা হল না।

মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম ব্যাটিং প্যারাডাইস হিসেবেই পরিচিত। যদিও এই ম্যাচে উল্টো চিত্র দেখা গেল। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪ ওভারের মধ্যেই ২০ রানে ৪ উইকেট হারায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। পরিকল্পনা ছিল, কোনও বোলারকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নামানোর। যদিও ব্যাটিংয়েই নামাতে বাধ্য হল মুম্বই। তাতেও পরিস্থিতি বদলায়নি। মিডল অর্ডারে সূর্যকুমার যাদবের না থাকা আরও বেশি করে চাপে ফেলছে মুম্বই ব্যাটিংকে। হার্দিক, তিলকের দুটি ক্যামিও ইনিংসে রাজস্থান রয়্যালসকে ১২৬ রানের টার্গেট দেয় মুম্বই।

অল্প রানের পুঁজি নিয়ে বোলাররা কিছুটা হলেও চেষ্টা করেন। শুরুতেই যশস্বীর উইকেট নেন ১৭ বছরের প্রোটিয়া পেসার কোয়েনা মাপাখা। ব্যাটিংয়ে স্কাইয়ের অভাব, বোলিংয়ে মরসুমের প্রথম ম্যাচেই নজর কাড়লেন আকাশ মাধওয়াল। তিন উইকেট নেন তিনি। ৮৮ রানে ৪ উইকেট হারায় রাজস্থান। মনে হয়েছিল, শেষ দিকে সঞ্জুদের লড়াই কঠিন হতে পারে। যদিও রিয়ান পরাগের অপরাজিত হাফসেঞ্চুরির ইনিংসে ১৫.৩ ওভারেই জয় রাজস্থানের। টানা তিন ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবলে শীর্ষে সঞ্জুরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 − two =