ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের এ মরসুমে হারের হ্যাটট্রিক আটকাল দিল্লি ক্যাপিটালস। হোম ম্যাচে দিল্লির পরিসংখ্যান দুর্দান্ত। ভাইজ্যাগে হোম ম্যাচ খেললেও পরিসংখ্যান নিজেদের দখলেই রাখল দিল্লি। টানা দু-ম্যাচ জিতে আসা চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ২০ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়। দিল্লি ক্যাপিটালসের জয়ে নানা মুহূর্ত রয়েছে। ডেভিড ওয়ার্নার, ঋষভ পন্থের হাফসেঞ্চুরি। পৃথ্বী শ-র ভরসা দেওয়া ইনিংস। খলিল আহমেদের বোলিং এবং অবশ্যই মুকেশ কুমারের মোড় ঘোরানো স্পেল।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। যদিও যে ভাবে হাওয়া বইছিল, তাতে ঋষভ ভুল সিদ্ধান্ত নিলেন কিনা, এ নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল। তার কারণ চেন্নাই সুপার কিংসের পেস বোলিং আক্রমণে রয়েছেন দীপক চাহার, মুস্তাফিজুর রহমান, মাতিসা পাথিরানার মতো বোলার। পৃথ্বী শ- ডেভিড ওয়ার্নার বড় রানের ভিত গড়ে দেয় দিল্লিকে। টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারে ১১০ বার ৫০-এর বেশি স্কোরের রেকর্ড ওয়ার্নারের। হাফসেঞ্চুরি করেন ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্থও।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসকে ১৯২ রানের টার্গেট দেয় দিল্লি। খলিল আহমেদের প্রথম স্পেল দিল্লি ক্যাপিটালসকে বড় ভরসা দেয়। মাত্র ৭ রানের মধ্যেই প্যাভিলিয়নে ক্যাপ্টেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও রাচিন রবীন্দ্র। ড্যারেল মিচেলের সঙ্গে অনবদ্য জুটি গড়ছিলেন অজিঙ্ক রাহানে। নিজের বোলিংয়ে ক্যাচ নিয়ে মিচেলকে ফেরান অক্ষর প্যাটেল। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা শিবম দুবে ও রাহানে ক্রিজে থাকায় ম্যাচে তখনও ভালো ভাবেই ছিল সিএসকে।
ইনিংসের ১৪ তম ওভারে অবশেষে মুকেশ কুমারকে আক্রমণে আনেন ঋষভ পন্থ। তাঁর এই এক ওভারে রাহানে এবং সমীর রিজভি গোল্ডেন ডাক হয়ে ফেরেন। জোড়া উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘোরান মুকেশ কুমার। ১৭ তম ওভারের প্রথম বলে শিবম দুবেকে আউট করে দিল্লিকে ম্যাচে ফেরান মুকেশ। মহেন্দ্র সিং ধোনি অবিশ্বাস্য একটা ইনিংস খেললেও ২০ রানে জয় দিল্লির। খলিল ৪ ওভারে ১টি মেডেন সহ ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। মুকেশ কুমার ৩ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট।