নেতৃত্ব দিলেন না লোকেশ রাহুল। ব্যাট হাতে বড় রান পেলেন না। প্রথম ম্যাচে তিনিই ছিলেন সেরা পারফর্মার। রাজস্থানের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে হার দিয়ে অভিযান শুরু হয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টসের। ঘরের ফিরতেই মুখে হাসি ফুটল লোকেশ রাহুলদের। ঘরের মাঠে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে নেমেছিল লখনউ। একটি করে জয় ও হারের পরিসংখ্যান নিয়ে লখনউতে নেমেছিল পঞ্জাব কিংস। আরও একটা জয়ের খুব কাছে গিয়েও ফিরতে হল।
লোকেশ রাহুলের পরিবর্তে লখনউকে নেতৃত্ব দিলেন নিকোলাস পুরান। মরসুমের শুরুতেই ত্রু«নাল পান্ডিয়ার পরিবর্তে নিকোলাসকে সহ অধিনায়ক করা হয়েছিল। দীর্ঘ চোট থেকে ফেরায় রাহুলকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা লখনউ টিম ম্যানেজমেন্টের। প্রথম ম্যাচে অবশ্য তিনিই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কিপিং-ব্যাটিংও করেছিলেন। রাহুল এই ম্যাচে বড় রান না পেলেও সমস্যা হয়নি লখনউয়ের।
টস জিতে প্রথমে ব্য়াট করে লখনউ। বাঁ হাতি ওপেনার কুইন্টন ডিককের হাফসেঞ্চুরি, নিকোলাস পুরান ও ত্রু«নাল পান্ডিয়ার বিধ্বংসী ইনিংসে পঞ্জাব কিংসকে ২০০ রানের টার্গেট দেয় লখনউ। এই রান নিয়েও ব্যাকফুটে ছিল লখনউ। সৌজন্যে পঞ্জাব কিংসের দুই অভিজ্ঞ ওপেনার জনি বেয়ারস্টো এবং ক্যাপ্টেন শিখর ধাওয়ান। শতরানের ওপেনিং জুটি গড়েন ধাওয়ান ও বেয়ারস্টো। এরপরই বোলিং দাপট। ম্যাচের রং বদল।
মাত্র ২১ বছরের এক্সপ্রেস গতির বোলার মায়াঙ্ক যাদব পঞ্জাবের ওপেনিং জুটি ভাঙেন। ক্রমশ ম্যাচ থেকে হারিয়ে যেতে থাকে পঞ্জাব। ১০২-০ থেকে ১৪১-৫ হয়ে যায় পঞ্জাবের স্কোর। আস্কিং রেট বাড়তে থাকে। শেষ দিকে লিয়াম লিভিংস্টোন ক্যামিও ইনিংস খেললেও ২১ রানে হার পঞ্জাবের। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় হার প্রীতি জিন্তার টিমের। ঘরে ফিরেই মরসুমের প্রথম জয় লখনউয়ের।