ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ম্যাচ। এক ম্যাচে ৫০০-র উপর রান। আইপিএলের রেকর্ড স্কোর। রেকর্ড রান তাড়া করে জয়ের অনেকটা কাছে পৌঁছেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। শেষ অবধি সূর্যোদয়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ছয়ের রেকর্ডও হল। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় স্কোর ছিল আরসিবির দখলে। ২০১৩ সালে ২৬৩ করেছিল আরসিবি। সেই রেকর্ড ভেঙে দেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ২৭৭ রান করে তারা। এই ম্যাচের সঙ্গে সেই ম্যাচের অনেক পার্থক্য। শেষ অবধি ৩১ রানে জয়ী সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
পুনে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে ২৬৩ রান করেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ক্রিস গেইল একাই করেছিলেন ১৭৫। সেটি কিন্তু এক তরফা ম্যাচ ছিল। হায়দরাবাদে যা হল, ব্যাটিং তাণ্ডব ছাড়া আর কীই বা বলা যায়। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ২৭৮ রানের টার্গেট দেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ১৮ ওভার অবধিও মনে হচ্ছিল, ম্যাচ যে কোনও দিকেই যেতে পারে। সে কারণেই সব ম্যাচের চেয়ে আলাদা।
শুরু থেকেই বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে হত মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। রোহিত-ঈশান সেটাই করেন। পাওয়ার প্লে-তে দুর্দান্ত একটা শুরু দেন। ব্যক্তিগত ১৮ রানে শাহবাজের বোলিংয়ে রোহিতের ক্যাচ ফসকান আব্দুল সামাদ। যদিও পরের ওভারেই প্যাট কামিন্স আক্রমণে আসেন এবং রোহিতের উইকেট নেন সানরাইজার্স ক্যাপ্টেন। তরুণ ব্রিগেড লড়াই চালিয়ে যায় মুম্বইয়ের।
অনবদ্য ব্যাটিং তিলক ভার্মার। হাফসেঞ্চুরির পরই ডাগআউটের দিকে ইশারা করেন, ‘রিল্যাক্স, আমি আছি এখনও।’ ব্যাট ভেঙেছিল তিলকের। ব্যাট বদলে ফের ঝোড়ো ব্যাটিং। শেষ ৬ ওভারে মুম্বইয়ের ১৬ রান করে প্রয়োজন ছিল। ১৫তম ওভারের প্রথম বলেই তিলক ভার্মাকে ফেরান সানরাইজার্স ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্স। মুম্বইয়ের ব্যাটিং পাওয়ার তখনও শেষ হয়নি। তবে স্লগ ওভারে জয়দেব উনাদকাটের অনবদ্য বোলিং। ১৮ তম ওভারে হার্দিককে ফিরিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ফের চাপে ফেলেন জয়দেব।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামানো হয় অভিজ্ঞ রোমারিও শেপার্ডকে। গত ম্যাচে ডিওয়াল্ড ব্রেভিসকে ইমপ্যাক্ট নামিয়েছিল মুম্বই। শেষ ২ ওভারে ৫৪ রান প্রয়োজন ছিল মুম্বইয়ের। ১৯ তম ওভারে ৭ রান দিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখেন ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্স। শেষ ওভারে ওয়াইড-নো না হলে হারের ভয় ছিল না হায়দরাবাদের। তবে ২৭৮ রান তাড়া করে ২৪৬ অবধি পৌঁছনো, মুম্বইয়ের লড়াই কুর্নিশ জানানোর মতোই।