বাঁচানোর আকুতি নিয়ে গার্ডেন রিচের শেরুর ফোন এসেছিল রবিবার মধ্যরাতে। ‘ফাসা হুয়া হ্যায়, মুঝে নিকালো।’ ফোনে এটুকুই বলতে পেরেছিলেন গার্ডেনরিচের বাসিন্দা ব্যবসায়ী শেরু নিজামি। তারপর ২ দিন কেটে গিয়েছে। আতিপাতি করে খুঁজেও ধ্বংসস্তূপ থেকে তাঁর খোঁজ মেলেনি। ফোনও বন্ধ। ৪৮ ঘণ্টা পর কি আর তার শরীরে প্রাণ আছে? মিরাক্যালের আশায় আল্লার দোয়া চাইছে শেরুর পরিবার।
মঙ্গলবার আরও এক নিথর দেহের খোঁজ পাওয়ার পর, এলাকার শেরু চাচা কী অবস্থায়, সেই প্রশ্নই এখন ঘুরছে পরিজনদের মনে।রবিবার রাত ১২টা নাগাদ গার্ডেনরিচের ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ে পাশের ঝুপড়ির উপর। বেশ কয়েকটি টালির চালের বাড়ি গুঁড়িয়ে যায়। অনেকে চাপা পড়েন। সেই ঘটনায় মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতও হয়েছেন অনেকে। ওই রাতেই ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা এলাকার বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। পরের দিন যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই ঘটনায় কলকাতা পুরসভার দিকে আঙুল উঠেছে। পুরসভার তরফে পদক্ষেপও করা হয়েছে। কিন্তু মহল্লার বাসি¨াদের দাবি পুরসভার মন্ত্রীর টনক যদি আগে নড়ত তাহলে হয়তো এতগুলো প্রাণ যেত না। আর শেরু চাচা! আল্লার দোয়া চাইছেন গার্ডেনরিচবাসী। আশা-আশঙ্কার দোটানায় কাঁপছে বুক। যদিও ঘটনার ২ দিন পর শেরু নিজামিকে নিয়ে আশার চেয়ে আশঙ্কাই বাড়ছে।