কে এই দেবব্রত দাস? কার মদতে তাঁর এই বারবারন্ত? কার আসকারায় ময়দানে নিজেকে কেউকেটা ভাবেন টাউন ক্লাবের এই কর্তা? সিএবি যুগ্মসচিবের চেয়ারে বসে নিজেকে প্রভাবশালী মনে করতে থাকেন এই কর্তা। অথচ খোঁজ নিলে দেখা যাচ্ছে, তাঁর এই আচরণকে ভালো ভাবে মেনে নিতে পারেননা সিএবিরই একাংশ। আর দু’বছর পরই তাঁর মেয়াদ ফুরোচ্ছে। আর এই দু’বছরে নিজের ক্ষমতাকে ক্রমশ জাহির করার খেলায় মত্ত এই কর্তা। সিএবি লিগে মহমেডান-টাউন ম্যাচের ভিডিও এখন কারও অজানা নয়। মাঠে উপস্থিত থেকে চোখের সামনে এসব ঘটনা থেকেও চুপ এবং নিরুত্তর দেবব্রত দাস। প্রশ্ন উঠছে, এবারও কি হাত গুটিয়ে বসে থাকবে সিএবি? ৬ তারিখের বৈঠকে নজর বঙ্গ ক্রিকেটমহলের।
ময়দানে শোনা যায়, যে চিত্রক মিত্রর হাত ধরে সিএবিতে আগমন এই দেবু দাসের, আড়ালে আবডালে সেই কর্তার নামেই পরবর্তীতে নিন্দা করতে ছাড়েননি। এমনকি একসময় মহারাজ বলয়ে ঢুকে পড়া দেবু দাস নাকি এখন কয়েক যোজন দূরে ছিটকে গিয়েছেন! যুগ্মসচিব থাকা সত্ত্বেও তাঁর কাছ থেকে অনেক কাজের দায়ভার সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সিএবিতে নিজেকে কেউকেটা ভাবা কর্তার বিরুদ্ধে এবার বিস্ফোরক অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য সৃঞ্জয় বসু। টিভি নাইন বাংলায় সুর চড়িয়ে টুম্পাই বললেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার। দেবু দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রথম নয়। টিকিট বণ্টনের সময় ওর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। সিলেকশন কমিটির মিটিংয়ের মধ্যে ওর বিরুদ্ধে ঢুকে পড়ার অভিযোগ আসে। বাংলা দলে নাক গলানোর অভিযোগও ওঠে। মহমেডান-টাউন ম্যাচে ওর বিরুদ্ধে এবার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। মহমেডান বলছে তাদের ১০ পয়েন্ট কেটে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। আমার প্রশ্ন এই হুমকি দিয়েছিল কে? প্রেমদীপ চট্টোপাধ্যায় দ্বিতীয় দিন আম্পায়ারিং না করে চলে গেলেন কেন? সিএবি প্রেসিডেন্টের চেয়ারে যিনি বসে আছেন, তিনি একজন প্রাক্তন ক্রিকেটার। ম্যাচে উপস্থিত সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলুক সিএবি সভাপতি। এখন পুরো বিষয়টা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। এখনও কেন চুপ রয়েছে সিএবি?’
সিএবি যুগ্মসচিবের চেয়ারে বসে ঋদ্ধিমান সাহার দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এই কর্তা। ভারতীয় কিপার বাংলা ছেড়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিলেও, অভিযুক্ত কর্তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি সিএবি। এবার কি বঙ্গ ক্রিকেট সংস্থার ঘুম ভাঙবে? নিজেকে কেউকেটা ভাবা কর্তার ডানা ছেটে কি স্বচ্ছ পদক্ষেপ দেখাতে পারবে? স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের সিএবির দিকে তাকিয়ে বঙ্গ ক্রিকেট মহল।