ইন্ডিয়ান সুপার লিগে জয়ে ফিরল মোহনবাগান। জয়ের হ্যাটট্রিক করে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিল আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের টিম। আগের ম্যাচে ওডিশার ঘরের মাঠে অনবদ্য ফুটবল উপহার দিয়েছিল সবুজ মেরুন। যদিও এক পয়েন্ট নিয়েই ফিরতে হয়েছিল। মোহনবাগান ঘরে ফিরল, জয়েও। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে ৩ গোল, ৩ পয়েন্ট এবং লিগ টেবলে দুইয়ে মোহনবাগান। শীর্ষে থাকা ওডিশার সঙ্গে মাত্র ২ পয়েন্টের গ্যাপ। যদিও ওডিশা এক ম্যাচ বেশি খেলেছে।
কলকাতা ডার্বি আদৌ কলকাতায় হবে কিনা, এই নিয়ে জটিলতা রয়েছে। ডার্বি সরতে পারে ভিন রাজ্যে। আরও ভালো করে বললে ভুবনেশ্বরে। ডার্বি যেখানেই হোক, মোহনবাগানের এই পারফরম্যান্স চিন্তা বাড়াতে বাধ্য ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গল খেলবে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। জামশেদপুরকে হারিয়ে ডার্বির দামামা বাজিয়ে দিল সবুজ মেরুন। আইএসএলে মরসুমের প্রথম ডার্বি ২-২ হয়েছে। ফিরতি ম্যাচ যে কতটা উপভোগ্য হবে, জামশেদপুরের বিরুদ্ধে টিম গেমেই যেন বুঝিয়ে দিল আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের টিম।
ম্যাচের ৭ মিনিটে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। দ্বিতীয়ার্ধে বাকি দুটি গোল জেসন কামিংস ও আর্মান্দো সাদিকু। গোলদাতা আলাদা হলেও অ্যাসিস্ট একজনেরই। মনবীর সিং। তিন গোলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, ম্যাচের সেরার পুরস্কারও জিতলেন মনবীরই। পরে অবশ্য ম্যাচ কমিশনার শেষ গোলটির অ্যাসিস্টের ক্ষেত্রে ডিফ্লেকশনের কথা বলেছেন। ফলে সরকারি ভাবে দুটি অ্যাসিস্ট মনবীরের। তাতে কীই বা যায় আসে। তাঁর পারফরম্যান্সই বুঝিয়ে দিয়েছে এই ম্যাচে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগের এ মরসুমে সবচেয়ে বেশি গোল মোহনবাগানের। ৩১ টি গোল করেছে সবুজ মেরুন। এর বড় একটা অংশ এসেছে দ্বিতীয়ার্ধে। যুবভারতীতে খালিদ জামিলের দলের বিরুদ্ধে খুব বেশি চাপে পড়তে হয়নি বিশাল কাইথকে। তবে দুর্দান্ত একটা সেভ করেছেন। উল্টোদিক জামশেদপুর এফসি গোলকিপার রেহনেশ যেন দম নেওয়ার সময় পাচ্ছিলেন না। স্কোর লাইনটা মোহনবাগানের পক্ষে ৬-০ হলেও অবাক হওয়ার ছিল না।